Search

Thursday, November 13, 2014

চুতিয়া কখনই মানুষ হয় না!

হালে একজন আমার সঙ্গে না-হক রাগারাগি করলেন। তিনি একদা একটা ওয়েব-সাইটে লেখার জন্য বলেছিলেন। তখন আমি সবিনয়ে না করেছিলাম। এবং এটাও বলেছিলাম, 'ভাইরে, আমি তো আমার নিজের ওয়েব-সাইট ব্যতীত অন্য কোথাও লিখি না'।
সবটা তখন মানুষটাকে বলা হয়নি যে কেন লিখি না। এ বিষয়ে অতীত অভিজ্ঞতা আমার খু্বই তিক্ত। লোকজনের সঙ্গে আমার বনিবনা হয় না। দলবাজী, দলাদলি জিনিসটা আমার একেবারেই পছন্দ না। এদিকে এই সমস্ত কর্মকান্ড না-করলে অনেকের আবার পেটের ভাত আস্ত চাউল হয়ে পড়ে। বড়ই সমস্যা! তো, এই নিয়ে কারও সঙ্গে কুতর্কে না-জড়িয়ে সানন্দে স্বীকার করে নেই বাপু রে, সমস্যাটা আমার নিজের মধ্যেই। 'খুশ'! তবুও জগতের সবাই সুখী হোক। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই পড়ে। নিঃসঙ্গ সারথি- ব্যাটলফিল্ডে একা‍, অরক্ষিত! অন্য একটা ছোট্ উদাহরণ দেই । 

একটা ওয়েব-সাইটে বাংলায় যখন প্রথম লেখালেখির সুযোগ এলো (সেটা ২০০৫ সালের কথা) সেখানে 'শুভ' নামে আমি চুটিয়ে লেখালেখি করা শুরু করলাম। অন্য লেখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সেখানে আমার শত-শত লেখা ছিল। ওই সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার মতের মিল না-হওয়ার ওখান থেকে লম্বা দিলাম। নিজের সাইটে লেখা শুরু করলাম। জনৈক চোদরি সাহাব (ইনিও ওখানে আমার সঙ্গে 'ল্যাকতেন')।

চোদরি সাহাব যখন মুক্তিযুদ্ধের ব্লগ ইতিহাস লিখলেন তখন পাশের বাড়ির জরিনার নামও নিলেন কিন্তু সেখানকার কোনও প্রসঙ্গেই 'শুভ' নামটা লিখলেন না। অনেকে বলবেন, বেচারা বাম থেকে ভাম হয়ে মস্তিষ্ক জ্যাম হয়ে গেছে। তা হওয়াটা বিচিত্র না কারণ দেশের গাওয়া ঘিয়ের বদলে বৈদেশের পুরু বাটার খেয়ে মস্তিষ্কে চর্বি জমাটা অস্বাভাবিক কিছু না। অথচ আমার অসংখ্য লেখায় এই 'ভদ্দনোকের' সহৃদয় মন্তব্য ছিল। সবগুলোর প্রিন্ট-আউটই আমার কাছে এখনও বর্তমান। তা, তিনি কেন এমনটা করলেন? কারণ আমি যে তাদের দলের কেউ নই। এদের ভাবখানা এমন, স্যারদের কাছ থেকে সনদ না-নিলে সবই বৃথা। বেচারা আমি আর কী করি, নিজেই লিখে মনিটরে পা তুলে নিজের লেখা আয়েশ করে পড়ি। ইশ-শ, যদি চোদরি সাহাবদের দলে থাকতুম তাহলে ফাটিয়ে ফেলতুম। 

যাই হোক, প্রসঙ্গ থেকে সরে এসেছি। তো, রাগারাগি করা মানুষটা একটা লিংক আমাকে ধরিয়ে দিলেন। ওই লিংক ধরে http://www.bengalinews24.com/opinion-bangla/2013/07/13/10601 -এ গিয়ে আমি তো হাঁ! অ আল্লা, মানুষটা তো ঠিকই বলেছেন। এখানে তো দেখতে পাচ্ছি ব্যাটা আলী মাহমেদ ঝাঁপিয়ে পড়ে লিখছে কিন্তু আমি যে বিন্দুবিসর্গও জানি না! bengalinews24.com- এখন এই একটা ঢং হয়েছে সব কিছুর মধ্যে 'টোয়েনন্টি ফোর' লাগিয়ে দাও। অবশ্য্ এরা 'টোয়েনন্টি ফোর'-এর স্থলে 'ফোর টোয়ান্টি' লাগালে ভাল করতেন- মানাত বেশ। ওরে, এখানে তো অনেক 'লুকজন' দেখতে পাচ্ছি!
[অ্যাডভাইজার: দেওয়ান নজরুল, এডিটর: পারভেজ খান, হেড অবস্ট্রাটেজি: কর্ণেল আমিনুল হক (অব:), ম্যানেজিং এডিটর: শাহ আরিফ বিন হাবিব, ম্যানেজিং এডিটর (ইংলিশ) আবদুল্লাহ আল মুরাদ, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এডিটর: শামীম বিল্লাহ, ফটো এডিটর: মেজর হামীম চৌধুরী (অব:)]
ওয়াল্লা, এখানে দিকি দুইজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর লোকও আছে! একজন তো আবার 'হেড অবস্ট্রাটেজি'! কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে, এরা আমার লেখা ছেপেছেন, এই আনন্দ কোথায় রাখি? দাঁড়ি-কমাসহ এরা হুবহু লেখাটা ছাপিয়ে দিয়েছেন, কিছুই বাদ পড়েনি- তসলিমার ছবি ব্যতীত। আহা, তসলিমার ছবি তোলার সুযোগ কোথায় আমার! 

তা, বেশ-বেশ। কিন্তু এই আমিই যে আমার সাইটে স্পষ্ট করে লিখে রেখেছি, "আমার লিখিত অনুমতি ব্যতীত আমার কোনও লেখা কোনও মাধ্যমেই প্রকাশ করা যাবে না"। লেখার অংশবিশেষ হলে না-হয় কথা ছিল না, কিন্তু দাঁড়ি-কমাসহ...। এখন আমার কী হবে গো? আনন্দে লাফালাফি করার সুযোগ কোথায় আমার? বিষাদের সঙ্গে বলতেই হয়, bengalinews24.com-কে চোর বলছি না অবশ্য, কারণ এরা দয়া করে আমার নামটা যে রেখেছেন। কিন্তু চুতিয়া না-বললে অন্যায় হয়...।

No comments: