Search

Wednesday, June 15, 2022

আ মরি বাংলা ভাষা, আ মরি মায়ের ভাষা!

ভিসি স্যারের হড়বড় করে বলা সব কথা আমি বুঝিনি। মূল কথা যেটা বোঝা গেল তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং নিয়ে তিনি কাতর না। তাঁর এই 'গাটস' আমাকে মুগ্ধ  করল। সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে হবে কেন? বিশেষ করে মর্যাদাবান কাউকে। আমরা অন্যদের মত নই। দ্যাটস ইট!

কেবল স্যারের কাছে একটাই জোরালো আশা, অন্তত মায়ের ভাষাটা, বাংলাটা যদি একটু শুদ্ধ উচ্চারণ করতেন তাহলেই বর্তে যেতাম।  

...

এই বিষয়ে লেখার এখানেই সমাপ্তি। এবার অন্য প্রসঙ্গ। কোনও-একটা মজলিসে সবার জন্য চা আনা হলো আপনার জন্য আনা হলো না, এখানে চুপ করে থাকাটাই সমীচীন। সম্ভব হলে সরে পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু গলা উঁচা করে আউড়ে যাওয়া আমি তো ফাইভ-স্টার ব্যতীত চা খাই না এটা একটা বড্ড 'ইয়ে' হয়ে যায় আর কী!  

কেন জানি না ছাই এই গল্পটা এখুনি মনে পড়ল। বদরউদ্দিন দুই হাত আকাশে ছুড়ে বকেই যাচ্ছেন, ফাস্টো হইছি, ফাস্টো। সবাই জিজ্ঞেস করে, থ্রি চিয়ার্স! তা সেকেন্ড, থার্ড কে হলো। বদরউদ্দিন বিরক্ত হয়ে বললেন, তা আমি কেমনে জানি। আমার সাথে তো আর কাউকে দৌড়াতে দেখি নাই। 

যাই হোক, গল্প তো গল্পই। গল্পের আবার আগামাথা কী! তারচেয়ে একটা কবিতা শোনা যাক:

"লাইন খুঁজছেন তো?
দাঁড়ান, কাছে আমার-
যেখানে দাঁড়ানো আমি 
সেখান থেকেই শুরু।"

আমাদের মত অন্যদের এমন রঙের খেলা নেই। যেমন ধরুন শিক্ষকদেরও আছে নীল দল, সাদা দল, গোলাপি দল। কত্তো কত্তো রঙ! ওহ, রঙের কারণে রঙ বিষয়ক একটা গল্প মনে পড়ল। আষাঢ় মাস তো কেবল আষাঢ়ে গল্প এসে ভিড় করছে।

একটা দৌড় প্রতিযোগিতা হলো। সবাই আগুপিছু করে চলে এলেন। কেবল একজনের খবর নেই। খবর হলো গিয়ে হপ্তাখানেক পর। ফিরে এসে ভদ্রলোক ক্ষেপে লাল। মেঘ গর্জনে বললেন, অন্যদেরকে দেখানো হয়েছে লাল পতাকা আর আমাকে হারাবার জন্য দেখিয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাকের পেছনের লাল বাতি। ওই 'ডিস্ট্রিক ট্রাক' এ শহর ও শহর ঘুরে। থামাথামির নামই নেই।  তবে আমিও কম যাই না শেষ পর্যন্ত যে কেবল ট্রাকের লাল বাতি ছুঁয়েছি এমনই না ইট দিয়ে ভেঙ্গেও দিয়েছি। 

No comments: