লেখক: Amirun Nahin
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রাম। গ্রামটি বাংলাদেশের অংশ হলেও ভারত দীর্ঘদিন তা অপদখল করে রেখেছিলো। অনেকবার দাবী জানাবার পরও তারা গ্রামটি ফেরত দিচ্ছিল না।
ফলে ১৯৫৮ সালের ৭ আগস্ট ইপিআর এর (বর্তমান বিজিবি) মেজর তোফায়েল মাহমুদ তাঁর ২৬ জন সৈন্য নিয়ে গ্রামটি মুক্ত করতে অভিযান চালান রাত্রিবেলায়। দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
ফলে ১৯৫৮ সালের ৭ আগস্ট ইপিআর এর (বর্তমান বিজিবি) মেজর তোফায়েল মাহমুদ তাঁর ২৬ জন সৈন্য নিয়ে গ্রামটি মুক্ত করতে অভিযান চালান রাত্রিবেলায়। দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
![Image may contain: sky and outdoor](https://scontent.fcgp16-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-0/cp0/e15/q65/p320x320/103692972_2597390707148060_780518951245894776_n.jpg?_nc_cat=111&_nc_sid=110474&_nc_ohc=l8XT1A_9GJ0AX8zmtst&_nc_ht=scontent.fcgp16-1.fna&_nc_tp=3&oh=37b92a4895d5a092a7c09797e2cb00f6&oe=5F25A608)
অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাবিলদার প্রিয়লাল শীল ও জমাদার সমশের সিং নিহত হয়, আটক হন কমান্ডেন্ট ঋষিকেষ দেববর্মন (ভৃগু ঠাকুর)। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে লক্ষীপুর গ্রামটি বাংলাদেশের (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের) দখলে ফেরত আসে।
তাঁদের স্মরণেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে নির্মিত হয় তোফায়েল-আজম স্মৃতিস্তম্ভ। আর শহরের প্রধান রাস্তার নাম করা হয় 'টিএ রোড'। গ্রামটির নাম করা হয় তোফায়েল নগর। আর সেখানকার বাজারের নাম করা হয় তোফায়েল বাজার। মেজর তোফায়েল মাহমুদ পান 'নিশান-ই-হায়দার' পদক (মরণোত্তর)। জমাদার মোহাম্মদ আজম পান 'সিতারা-ই-জুরাত' পদক (মরণোত্তর)।
আল্লাহ এই দুই বীরকে জান্নাতবাসী করুক। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সকল সৈনিকদের জন্য শ্রদ্ধা। (প্রথম ছবিটি যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি। আর দ্বিতীয় ছবিটি হচ্ছে তোফায়েল-আজম স্মৃতিস্তম্ভের ১৯৬৭ সালে তোলা ছবি।)
![Image may contain: outdoor](https://scontent.fcgp16-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-0/cp0/e15/q65/p240x240/103374854_2597390647148066_5241393160158090007_n.jpg?_nc_cat=100&_nc_sid=110474&_nc_ohc=04QsNRKh23oAX-UesUM&_nc_ht=scontent.fcgp16-1.fna&_nc_tp=3&oh=482b75ed08ba99cf89cdb45fb63d3b0c&oe=5F241A5F)
No comments:
Post a Comment