Search

Monday, July 25, 2016

বর্গি গেল, জামাত-শিবির এলো!

মারাঠা সৈন্যবাহিনীর দস্যুদেরকে বর্গি বলা হতো। এই বর্গিরা ছিল মহাপাজি! এরা অন্য রাজ্যের রাজস্বেও ‘চৌথ’ নাম দিয়ে ভাগ বসাত। করাত টাইপের লোকজন অনেকটা, যেতেও কাটে আসতেও। রাজস্ব দিলেও রাজস্বের নামে লুটতরাজ না-দিলেও লুটতরাজ। বঙ্গের মানুষকে তিতিবিরক্ত করে ফেলেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়াল কাউকে জিজ্ঞেস করা হলো,‘ভাত খাইছেন’? তার উত্তর অনেকটা এই টাইপের, ‘কী ভাত খামু বর্গির জ্বালায় ভাত খাওয়ার উপায় আছে’!
'ইয়ে করছেন'? 'আরে, কেমনে ইয়ে করমু', ইত্যাদি।

দেশে এখন আর বর্গি নাই। তাতে কী! জামাত-শিবির তো আছে। ভাগ্যিস আছে নইলে আমাদের দেশের যে কী উপায়টা হতো! আহা, কাউকে ক্রসফায়ারের নামে মেরে ফেলা হয়েছে, তো?। ‘কুছ পারোয়া নেহি’, জামাত-শিবির বলে দিলে ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য বঙ্গাল ফ্রন্ট’! পুলিশ কাউকে ‘দিন-দাহাড়ে’ শত-শত লোকজনের সামনে পেটাচ্ছে। কোনও সহৃদয় মানুষ অসহায় মানুষটাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো বুঝি? ব্যস, বলে দাও ওরা জামাত শিবির দেখো, তার পায়ে অদৃশ্য পেরেক আটকে নড়াচড়ার যো থাকবে বুঝি- তখন তার একেকটা জুতার ওজন হবে কম-কম ১ টন।!
                              ভিডিও সূত্র: banglatribune.com
এই ভিডিওতে আমরা যে বীরপুঙ্গব সার্জেন্ট মহোদয়কে দেখতে পাচ্ছি তিনি একজন চালককে পেটাচ্ছেন, বুট দিয়ে পদদলিত করছেন। এদিকে পুলিশ বলছে, "... পুরো ঘটনার ভিডিও দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে খন্ডিতাংশ। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করেন তারা"...
বাপুরে, তোমাদের ভাবমূর্তির ভাব দেখে বাঁচি নে।
পরে সার্জেন্ট স্যার তার মোবাইল, ঘড়ি, চশমা এবং ইয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণও আদায় করেন। এই প্রসঙ্গে সার্জেন্ট মেহেদীর কাছে ওই চালককে মাটিতে ফেলে পায়ের বুট দিয়ে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমি তাকে অ্যারেস্ট করতে চাইছিলাম। এটা আমাদের অ্যারেস্ট করার কৌশল’।
কারও গোপন কৌশল নিয়ে আমরা ট্যাক্সপেয়ি লোকজনেরা বেশি বাতচিত নাই-বা করলাম।
সার্জেন্ট মেহেদী বাংলা ট্রিবিউন ডট কমকে আরও বলেন, “…এ সময় কয়েকজন লোক এগিয়ে আসেন। যাদের পরনে কোর্ট-টাই পরা ছিলো। মুখে দাড়ি ছিলো। তাদের জামায়াত-শিবিরের লোক বলে মনে হয়েছে। …

কী সর্বনাশ-কী সর্বনাশ! আফসোস, গুলিস্তানের কামানটা সার্জেন্ট সাহেবের হাতের নাগালে ছিল না নইলে তোপ দাগিয়ে এগিয়ে আসা ওই জামাত-শিবির দুষ্টদেরকে উড়িয়ে দিতেন।

No comments: