Search

Wednesday, June 19, 2013

আমাদের পোষা বেড়াল আমাদেরকেই বলে, ম্যাও!

পূর্বে একটা লেখা দিয়েছিলাম [১] আমাদের রেলওয়ের জমি অধিগ্রহন করা নিয়ে। এরা প্রয়োজনের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন করার অপচেষ্টা করছে।

গতকালই গঙ্গাসাগর বাজারে এর প্রতিবাদে এক মানববন্ধন হয়। প্রায় সবার বক্তব্য অবিকল। রেল প্রয়োজনে জমি নিক কিন্তু অহেতুক স্থাপনাগলো নষ্ট  করে না। এদের এই সব উম্মাদসুলভ আচরণের কারণে ৯০০ বছর পুরনো মন্দিরও নষ্ট হবে!
এই গঙ্গাসাগরের আজ আর সেই দবদবা নেই কিন্তু এই গঙ্গাসাগরেই ছিল ত্রিপুরা মহারাজের কাচারিঘর। ত্রিপুরা মহারাজ এখানে অবকাশ যাপনও করতেন। এখনও এই স্থাপনাগুলোর কিছু-কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে।

আজ যে আমাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী, রেলওয়ের বড়-বড় লাট সাহেবরা এডিবির, ভারতের টাকার জোরে লম্বা-লম্বা বাতচিত করছেন, এই ব্যাটারা জানেও না যে রেলের জন্য এই সমস্ত জমি তাদের বাপ ত্রিপুরার মহারাজের দেয়া। পূর্বে যেটার নাম ছিল, 'আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে'।

এবং এখন যে গঙ্গাসাগরের জায়গার খু্ব প্রয়োজন হবে ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপনের জন্য যে কারণে এরা বিনষ্ট করছে বাজার-হাট সব। অথচ গঙ্গাসাগর স্টেশনের পাশেই বিশাল এক দিঘী, 'গঙ্গাসাগর দিঘী'! ন্যূনতম সাড়ে ছয় লক্ষ স্কোয়ার ফিটের এই দিঘী অযথাই পড়ে আছে এবং এটা সরকারী জায়গা। এরা ইচ্ছা করলে বাজারটা বিনষ্ট না-করে এই দিঘী ভরাট করেও অনেকটা জায়গার ব্যবস্থা করতে পারে।
কিন্তু এরা এটা করবে না। শ্লা, এরা জাংক ফুড খাওয়া ফার্মের মুরগির বাচ্চা, এরা কী বুঝবে ঐতিহ্য কাকে বলে!

এডিবি নামের লালমুখো বাঁদর এবং ভারতের দাদারা নিজেদের দেশের স্খাপনাগুলো বুকে আগলে রাখবে। লোকজনকে দেখিয়ে দেখিয়ে পয়সা লুটবে।
ওহে, দাদারা, তোমাদের তাজমহল গুঁড়িয়ে দাও না দেখি হে, বাপু। এটা ভেঙ্গে একটা ওভারব্রীজ বানাও দিকি, শাঁ-শাঁ করে গাড়ি যাবে যেটা দেখে প্রয়োজনে আমরা মুত্র চেপেও হলেও বলব, ওয়াও, কী সোন্দর-কী সোন্দর! আর তাজমহল নামের এই সাদা ভবনটায় আছেটা কী, বা...?

আমরা জানি, রেল বলি, আর এডিবি, ভারত সবাই ক্ষমতাসীন দলের কাঁধে বন্দুক রেখে আমাদেরকে শিকার করবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই, আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় পোষা কর্মচারী, এরা আমাদের টাকায় কেনা অস্ত্রগুলো আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবে। ক্ষমতাসীন দলগুলো তাদের হলুদ দাঁত বের করে যখন বিজয়ের হাসি হাসবে তখন আমরা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করব।
শেষ হাসিটা হাসব আমরাই, সবগুলো দাঁত বের করে। যার নমুনা আমরা দেখেছি, চারটা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে। এ তো কেবল তবলার ঠুকঠাক, গান তো এখনও শুরু হয়নি...।
 

সহায়ক সূত্র:
১. ভাল দাম পেলে: http://tinyurl.com/ksu6jl4



*গঙ্গাসাগর, ছবি ঋণ: সাদিক মোহাম্মদ আলম  
**কালের কন্ঠ: http://www.kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1276&cat_id=1&menu_id=56&news_type_id=1&index=9#.Ub7VgthCLFw


***এরা ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে চন্দনসার এলাকার তিন-তিনটি খাদ্য গুদাম ১০০ বছরের পুরনো ব্রিটিশ স্থাপনা। অথচ এখানে রয়েছে তিন-তিনটে লাইন! একটায় গাড়ি গেল, একটায় আসল, অন্যটায় শান্টিং করলেও এখানে তিনটে লাইনের বেশি প্রয়োজন থাকার প্রশ্নই আসে না কারণ এটা স্টেশন না যে এখানে চৌদ্দটা লাইনের প্রয়োজন হবে:

 

1 comment:

Anonymous said...

Without spending any money, users can 점보카지노 pattern what a website site|a internet site} has to offer. In addition to no deposit bonuses for new spanking new|for brand new} gamers, on-line playing suppliers supply present purchasers many promos, similar to free spins. Pennsylvania is the fourth and largest state to legalize and regulate on-line playing. There are numerous types of on-line casinos, sportsbooks, and on-line sports activities betting apps stay in New Jersey. New Jersey's Division of Gaming Enforcement oversees and regulates New Jersey’s on-line gaming sites. It handles licensing for the sites, tax income collection, and game testing and approval.