Search

Friday, March 25, 2011

রক্তের দাগ...

'রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না' [১] এই শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটা লেখা লিখেছিলাম তীব্র বিশ্বাস নিয়ে: 
"৩৫ বছর কেন, ৩৫০ বছর পরও সত্যটা এটাই থাকবে, যতো বিকৃত করা হউক না কেন, রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায় না! ঘুষখোরকে ঘুষখোর বলব- গুখোরকে গুখোর- খুনিকে খুনি- সাদাকে সাদা, কালোকে কালো! রাজাকারকে রাজাকার বলবো- ছড়াকার না"! পাপ কাউকে ছাড়ে না- শ্যাওলাপড়া ফসিলেও তার ছাপ থেকে যায়।

ছবি ঋণ: www.col-taher.com
কর্নেল তাহেরকে নিয়ে লেখাটা 'কর্নেল তাহের, তোমাকে কি স্পর্শ করতে পারি'? সাদাকে কালো বলিব এই বইয়ে লেখাটা লিখে বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম! এই নিয়ে আলোচনা পরে কখনও। তখন কেবল তাহের শব্দটাই ছিল অসম্ভব স্পর্শকাতর! তাহেরকে নিয়ে কোন ধরনের লেখা তৎকালীন সরকার সহ্য করতে পারতেন না। ওই লেখাটায় অবশ্য পরে আরও তথ্য যোগ করা হয়েছিল [২]

কর্নেল তাহেরকে স্রেফ খুন করা হয়েছিল। দিনের-পর -দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর, যুগের-পর-যুগ চলে যায় কিন্তু সেই খুনের বিচার আর হয় না। যে খুনের বিচার সম্প্রতি হয়েছে। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এটা ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ড। নাটের গুরু হচ্ছেন জিয়াউর রহমান [৩]। গোল্ডা মায়ারের কাছ থেকে ধার করা কথাটাই বলি, 'নিজ হাতেখুন করা এবং খুন করার সিদ্ধান্ত দেয়ার মধ্যে তেমন কোনও ফারাক নাই'।
আজ এঁরা দুজনই মৃত। মৃত কোন মানুষকে যেমন শাস্তি দেয়া যায় না তেমনি সম্ভব না মৃত কাউকে জীবিত করাও! তাহলে? কিন্তু ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাটা জীবিত মানুষদের জন্য বড়ো জরুরি। আর কর্নেল তাহেরের মত মানুষদের মেরে ফেলা যায় না। এঁরা খোলস বদলান কেবল!

আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম ৭১, ৮১, ৯১, ২০০১ বছরটা জরুরি না, আমি সমস্ত অপরাধের বিচার চাই। ডা. আইজু নামের এক নির্বোধ এটা নিয়ে বিশাল এক গল্প ফেঁদে বসেছিলেন। আমি নাকি ৭৫-এর বিচার চাই না অতএব আমি স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রি একজন মানুষ! বয়সে কুলায় না বলে রাজাকার বলে বসেননি। আজকাল এরাই নাকি মুক্তিযোদ্ধার সনদ বিলি করেন।
আমি কেবল বলতে চেয়েছিলাম, সময়মতো সমস্ত অন্যায়ের বিচার হলে কতশত অন্যায় রুখে দেয়া যেত। যেহেতু ৭১ থেকে আমাদের দেশের যাত্রা শুরু তাই টাইম ফ্রেমটা ৭১-এর পর থেকে ১০ বছর যোগ করে করে হিসাবটা দাঁড় করানো হয়েছিল। ৭১...৮১...৯১...২০০১। যেমন এখন এর সঙ্গে ২০১১ যোগ হয়ে হবে ৭১, ৮১, ৯১, ২০০১, ২০১১। যাই হোক, যাদের (সেটা ডা. আইজু হোক বা বানর) মগজ জুতার তলায় লেপ্টে থাকে তাদের সঙ্গে তর্ক চলে না।  অবশ্য বানব জুতা পায়ে দেয় কিনা এই নিয়ে বিশদ তথ্য আমার কাছে নাই!

হাইকোর্টের রায়ে আমাকে যে বিষয়টা অভিভূত করেছে সেটা হচ্ছে তাহেরের বিচারকার্যে যে বিচারকরা জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে জীবিত একজন হচ্ছেন আবদুল আলী, তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাহেরের মতাদর্শ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, একজন জিয়া তাঁকে মেরে ফেলতেই পারেন কিন্তু একজন বিচারক হয়ে কাউকে খুন করতে সহযোগীতা করে পার পেতে পারেন না। অবিলম্বে এই বিচারক নামের খুনের সহযোগীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। জীবিত মানুষটা মৃত হয়ে যাওয়া পূর্বেই...।

*ছবি ঋণ: www.col-taher.com

সহায়ক সূত্র:
১. রক্তের দাগ...: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_06.html
২. কর্নেল তাহের, তোমাকে কি স্পর্শ করতে পারি?: http://www.ali-mahmed.com/2009/01/blog-post_8805.html
৩. ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ড: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2011-03-23

2 comments:

Carrina Vergas said...

আমাদের উচিত অবিলম্বে এ সব অপরাধীদের কাঠ গরায় দার করা

Carrina Vergas said...

computer and mobile tips