প্রয়োজন মনে করায় এখানে বাচ্চাটির নাম এবং ডাক্তারের নাম সরিয়ে দিলাম |
ওই শিশুটির বাবা একদিন আমার হাত ধরে একটা শিশুর মত কাঁদছিলেন।
ওই বাবাটির হাতে ধরা এই রিপোর্টটি, ক্ষমতাবানরা নাকি টাকার জোরে তাদের পক্ষে নিয়ে নিয়েছে। এতে পরিষ্কার লেখা আছে হাইমেন ইনট্যাক্ট!
অথচ এই মেয়ে-শিশুটিকে ধর্ষন করা হয়েছিল, ছেলেটি পালিয়ে যাওয়ার সময়, আই-উইটনেস থাকার পরও আদালতে এই রিপোর্টটি দাখিল করলে এই মামলা ডিসমিস হয়ে যাবে এ নিশ্চিত!
(এটা ওই শিশুটির বাবার বক্তব্য-মত, এই মতের দায়-দায়িত্ব আমার না। তাঁর লিখিত সম্মতিক্রমে ছাপানো হলো। )
ওই বাবাটির মত আমিও এক অভাগা, অক্ষম- কী করার ছিল আমার? কিন্তু আমি যেটা করতে পারিনি আমার সৃষ্ট চরিত্র ওবায়েদ সাহেব সেটা করে দেখিয়েছেন। আমার সৃষ্টি আমায় ছাড়িয়ে গেছে, এতে আমার কোন লাজ না। ওবায়েদ সাহেব- তাঁকে আমি স্যালুট করি।
... ... ...
"জুনাব আলি (ওসি) এবং ওবায়েদ সাহেবকে ডাঃ শাহরিয়ার বসিয়ে রেখেছেন প্রায় ১৫ মিনিট হল।
জুনাব আলি ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে এসেই বলেছিলেন, ডাক্তার সাহেব, জরুরি দরকার। আপনার সঙ্গে কথা বলতে হবে। ঢাকা থেকে এক সার এসেছেন।
ডাঃ শাহরিয়ার পাত্তা দেননি। সিভিল সার্জন, এস, পির সঙ্গে তার যথেষ্ট হৃদ্যতা আছে। হেলাফেলা ভঙ্গিতে বলেছিলেন, আপনি দেখছেন না, রোগি দেখছি।
ডাক্তার সাহেব বিষয়টা জরুরি।
আরে কি মুশকিল! এখন আমার পিক আওয়ার, সন্ধ্যায় আসেন।
ডাক্তার সাহেব, কিছু মনে করবেন না। সন্ধ্যায় তো সার থাকবেন না, ঢাকায় ফিরে যাবেন।
ডাঃ শাহরিয়ার রেগে গিয়েছিলেন, না থাকলে নাই। আপনার সার কি ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন! যান, অপেক্ষা করতে বলেন, রোগি দেখা শেষ করে আলাপ করব।
জুনাব আলি শংকিত দৃষ্টিতে দরোজার ফাঁক দিয়ে খানিক তাকিয়েই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। ওবায়েদ সাহেব বাইরে যেখানে বসে অপেক্ষা করছিলেন, ওখানে এই কথাবার্তাগুলো না-শুনতে পাওয়ার কোন কারণ নাই। কিন্তু মানুষটার নির্বিকার ভঙ্গি, শুনেছেন কি শোনেন নাই বোঝা যাচ্ছে না।
বের হয়ে জুনাব আলি মৃদু গলায় বলেছিলেন, সার-।
ওবায়েদ সাহেব হাত উঠিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, হুম-ম!
ভেতরের রোগি বের হয়ে এলে আরেকজন রোগি ঢুকতে যাচ্ছিল। এইবার ওবায়েদ সাহেব উঠে দাঁড়ালেন। হিম গলায় বললেন, জুনাব আলি, এই রোগিকে জিজ্ঞেস করেন কি সমস্যা নিয়ে এসেছে। খুব জরুরি কিছু না হলে বলেন অপেক্ষা করতে।
জুনাব আলি কথা বলে দেখলেন খুব জরুরি কিছু না। ওবায়েদ সাহেব কালমাত্র বিলম্ব না করে ভেতরে ঢুকলেন।
চেয়ারে বসতে বসতে ডাঃ শাহরিয়ারকে বললেন, হ্যালো ডক, আপনি ভুল ভাবছেন, আমি কিন্তু ঘটক না। বিবাহের কোন সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসি নাই যে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকব।
ডাঃ শাহরিয়ার স্তম্ভিত। কেউ তার সঙ্গে এমন ভাষায় কথা বলছে এটা মেনে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। সামলে নিয়ে বললেন, আপনি কে, মুখ সামলে কথা বলুন।
না বললে?
আপনি জানেন আমি আপনাকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারি।
তাই নাকি! দু-নম্বরি করতে করতে ভাষাটাও দু-নম্বরি হয়ে গেছে আপনার। জেলের ভাত খাওয়ার আপনার শখ কেমন, শুনি? জেলের ভাত খাওয়া আপনার জন্য অবশ্য খুব কঠিন কিছু না। কয়টা বলব?
আপনি এখানে প্র্যাকটিস করছেন অথচ আপনার এখন সরকারি হাসপাতালে থাকার কথা। খোঁজ নিয়েছি, আপনি ছুটিতেও নেই। বিষয়টা কী দাঁড়াল? সবচেয়ে ভয়াবহ কথাটা হচ্ছে, আজ আপনার ইমারর্জেন্সি ডিউটি।
এমনিতে এই প্যাথলজির সঙ্গে আপনার চুক্তি হচ্ছে, যত টেস্ট লিখবেন এর বিনিময়ে শতকরা ৪০ ভাগ কমিশন পাবেন। আরও বলব?
মাস ছয়েক আগে আপনার দোষে মেয়াদ উত্তীর্ন ইঞ্জেকশনের কারণে একটা শিশুর মৃত্যু হয়। আপনি চাল করে শিশুটির বাবার কাছ থেকে প্রেসক্রিপসনটা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
ভুয়া সার্টিফিকেট দিতে আপনার কোন আপত্তি থাকে না, টাকার অংকটা ভাল হলেই হয়। আরও বলব? ওহো, মাফ করবেন-মাফ করবেন, আমি যে ঘটক না এটা তো মুখে বললাম। প্রমাণ দেই, মে আই? এই যে আমার আই, ডি।
ডাঃ শাহরিয়ার মনে হচ্ছে বুকে হাঁপ ধরে যাচ্ছে। হার্টবিটের একটা বিট কি মিস করলেন, মানুষটা যখন তার আই ডি বের করে চোখের সামনে মেলে ধরলেন।
ডাঃ শাহরিয়ার ভয় চেপে বরলেন, ক্কি-কি, চান আমার কাছে?
ওবায়েদ সাহেব তাৎক্ষণিক উত্তর দিলেন না। সময় নিয়ে রিপোর্টটা বের করলেন। এগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা ভাল করে দেখুন, চেনা মনে হচ্ছে।
ডাঃ শাহরিয়ার একনজর দেখেই ফেরত দিলেন।
সইটা আপনার?
হ্যাঁ।
হ্যাঁ না, বলুন জ্বী। আমি আপনার বন্ধু না। সইটা আপনার?
ডাঃ শাহরিয়ার থেমে থেমে বললেন, জ্বী।
রিপোর্টটা ঠিক আছে?
ঠিক না থাকলে এটা দেব কেন?
মেয়েটিকে রেপ করা হয়েছিল কিন্তু আপনি স্পষ্ট লিখেছেন, রেপড হয়নি। কিন্তু আপনার চেয়ে কে আর ভাল জানবে যে এটা ভুয়া।
ভুয়া হবে কেন?
চোপ, বেশি ফড়ফড় করবেন না। ভুয়া মানে জানেন না- সারহীন, অসার, শূন্যগর্ভ? মিথ্যা এই রিপোর্টটার জন্য ২২০০ টাকা নিয়েছেন, ভুলে গেছেন?
আমি কোন টাকা নেই নাই।
ওবায়েদ সাহেব অবজ্ঞার হাসি হাসলেন, হুম, না নিলে ভাল।
ডাঃ শাহরিয়ারের মত মানুষরা ভাঙ্গেন কিন্তু মচকান না। তিনি ভাল করেই জানেন টাকার গায়ে কারও নাম লেখা থাকে না। বললেই প্রমাণ হয়ে যায় না। হ্যাঁ, এটা সত্য, এরা খোঁজ খবর নিয়েই এসেছে। তিনি টাকা নিয়েই এই মিথ্যা রিপোর্টটা দিয়েছিলেন, স্বীকার না করলে কচু হবে!
ওবায়েদ সাহেব খানিকক্ষণ নীরব থেকে বললেন, তাইলে আপনি টাকা নেন নাই?
বললাম তো একবার, না।
হুম, তাইলে নেন নাই?
জ্বী-ই-ই না।
হুমম।
ডাঃ শাহরিয়ারের আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই, সামলে নিয়ে বললেন, অফিসার, আপনি অযথাই আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছেন।
ওবায়েদ সাহেব হেলাফেলা করে হাসলেন, হুমম। ফাঁসিয়ে দেয়া। ভাল বলেছেন, ওয়েল সেইড। দেখুন শাহরিয়ার সাহেব, আপনি এমন সব কর্মকান্ড করে বেড়ান আপনাকে ফাঁসানো আমার জন্য কঠিন কিছু না। জানি-জানি, আপনি কি ভাবছেন, আপনি আইনের ফাঁকতালে অবলীলায় বের হয়ে আসবেন। আর এটা আমার যে জানা নাই এমন না। একটা কথা আছে জানেন তো, কাউকে এক হাত নিচে নামাতে হলে নিজে দুই হাত নিচে নামতে হয়। এটাই হচ্ছে আপনার সুবিধা, আমার অসুবিধা। আপনাকে একহাত নিচে নামিয়ে আমার দু-হাত নিচে নামার সুযোগ নাই! এটা আপনি ঠিকই আঁচ করেছেন, তাই না?
ডাঃ শাহরিয়ার চুপ করে রইলেন। উত্তর দিলেন না। মনে মনে ভাবলেন, ঠিক ধরেছ ব্যাটা।
ওবায়েদ সাহেব গম্ভীর হয়ে বললেন, শাহরিয়ার সাহেব, আমার সময় কম নইলে আমি আপনার চ্যালেজ্ঞ ঠিকই নিতাম। আপনার জীবনটা দুর্বিষহ করে দিতাম। আমি বলি কি, সত্যটা স্বীকার করে ফেলুন, আমি চলে যাব; আপনাকে আর ঘাঁটাব না, আই সয়্যার অন মাই বলস। আপনার নিজস্ব কর্মকান্ড নিয়ে আমার কোন উৎসাহ নেই।
ডাঃ শাহরিয়ারের গলা খানিকটা উঁচু হলো, এককথা কয়বার বলব!
আপনি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, যারা রেপ করেছে, শফিক-ফরহাদ, এরা আমার কাস্টডিতে আছে। এরা সব স্বীকার করেছে।
ডাঃ শাহরিয়ার কাঁধ ঝাঁকালেন, একজন বলে দিলেই আমাকে মানতে হবে কেন!
সায়িদ সাহেব, আপনার কাছে জোর অনুরোধ করি, এটা একটা রেপ কেস। এবং রেপড হয়েছে একটা শিশু। প্লিজ, একটু ফেভার করুন। আমি কথা দিচ্ছি, এরপর আপনার কোন প্রসঙ্গ নিয়ে-।
ওবায়েদ সাহেব পুরো কথা শেষ না করেই থেমে গেলেন। সামনে বসা মানুষটার মুখে বিজয়ীর হাসি। ওবায়েদ সাহেবের কাতরতার মানুষটা অন্য অর্থ বুঝে বসে আছে!
ওবায়েদ সাহেব বললেন, হুমম, তা শাহরিয়ার সাহেব, আপনার একটা ফুটফুটে মেয়ে আছে, না?
অজান্তেই ডাঃ শাহরিয়ারের কপালে ভাঁজ পড়েছে, জানেন যখন জিজ্ঞেস করছেন কেন?
না এমনি। কোন ক্লাশে উঠল, নাইন, রাইট?
হ্যাঁ, তো?
বেশ বেশ। মাশাল্লা।
ডাঃ শাহরিয়ার গলা একধাপ চড়ে গেল, এই বিষয়ে কথা বলার মানে কী!
ওবায়েদ সাহেব পলকহীন দৃষ্টিতে বললেন, না, কোন মানে নাই। আমি ভাবছিলাম আপনার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনাটাই ঘটলে আপনার কেমন লাগত? জাস্ট ভাবছি আর কি- ভাবতে তো আর দোষ নাই, কী বলেন?
হাউ ডেয়ার য়্যু!
তাই মনে হচ্ছে আপনার! কেন, নিজের মেয়েকে নিয়ে এমন আশংকা জাগে না বুঝি?
অফিসার, আপনি কিন্তু লিমিট ক্রস করছেন!
তাই নাকি! কই, আমার তো এমনটা মনে হচ্ছে না।
অফিসার, আপনি এবার আসুন। আমার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ করার করুন। পারলে আমাকে কোর্টে তুলুন। লেট সী!
দাঁড়ান-দাঁড়ান, এই মুহূর্তে এখান থেকে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই আমার। আরে না, কোর্ট-ফোর্টে যাওয়া নিয়ে আমার কোন ইচ্ছা নাই।
এইবার ওবায়েদ সাহেব ওসি জুনাব আলীর দিকে ফিরে বললেন, ইয়ে, জুনাব আলি, আপনার জানামতে কোন দাগী আসামী বা বদমায়েশ ক্রিমিনাল আছে?
জুনাব আলি এই মানুষটার কথার ধারা খানিকটা আঁচ করতে পারেন। উৎসাহে বললেন, তা খুঁজে বের করা যাবে, সার।
শিওর?
জ্বী সার।
কনফার্ম করেন, নইলে বাইরে থেকে আমাকে আবার পাঠাতে হবে।
না সার, সমস্যা হবে না।
ওবায়েদ সাহেব জুনাব আলির সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ শাহরিয়ারকে উপেক্ষা করে।
জুনাব আলি, আপনি এমন একজন ঠিক করুন। ওকে আমরা এই কাজের বিনিময়ে সব ধরনের ছাড় দেব।
সার, এমন একজন না, কয়েকজনকেই পাওয়া যাবে। আপনি মাথায় হাত রাখলে এরা হাসতে হাসতে কাজটা করে দেবে।
আরে না জুনাব আলি, আমি তো ধরাছোঁয়ায় থাকব না। যা করার আপনিই করবেন। অবশ্য আমার সব সাপোর্ট পাবেন, কথা দিলাম।
ডাঃ শাহরিয়ার মানুষটা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, ভয়টাকে আটকাতে। পারছেন না। এই মানুষটার হেলাফেলা ভঙ্গি ভয় ধরাবার জন্য যথেষ্ট। তিনি লক্ষ করলেন এরা তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। একাগ্রমনে শলা করছে। সত্যি সত্যি কি এরা এটা করবে, নাকি তাকে ভয় দেখাচ্ছে।
জুনাব আলি, তাইলে আপনি কাজ শুরু করে দেন। এস, পিকে শুধু এটা আমি বলে দেব, আপনার যেন কোন সমস্যা না হয়। ভাল কথা, যাকে দিয়ে কাজটা করাবেন সে আবার স্বীকার করে ঝামেলা করবে না তো?
না সার, টাইট দিয়ে দেব।
উঁহুঁ, জুনাব আলি, এই বিষয়টা কিন্তু হেলাফেলার বিষয় না। ভাল হয় ওই পরে বদমায়েশটাও মারা গেলে। ইয়ে, বুঝতে পারছেন তো?
জ্বী সার, আপনার এই পরামর্শটা মনে ধরেছে। এটাই ভাল হবে। রিস্ক কম।
আমারও তাই মনে হয়।
সার, আপনি আমার উপর ছেড়ে দেন। দেখেন আমি কিভাবে ব্যাপারটা সামলাই।
গুড।
সার, পুরো ঘটনাটার ভিডিও করে এক কপি পাঠিয়ে দেব?
না জুনাব আলি, নেহায়েৎ বোকামি হবে। তাছাড়া এটার আদৌ প্রয়োজন নাই। কাজটা হয়ে গেলেই হয়। আমি কেবল দেখতে চাই ডাঃ সাহেব কার কাছে গিয়ে তার মেয়ের বিচারটা চান।
ডাঃ শাহরিয়ার আর পারলেন না। দু-হাতে মুখ ঢাকলেন। অস্ফুট স্বরে বললেন, স্টপ ইট, প্লিজ স্টপ ইট।
ওবায়েদ সাহেব এবং জুনাব আলি চুপ করে গেলেন। ডাঃ শাহরিয়ারকে সামলে নেয়ার সুযোগ দিচ্ছেন।
শাহরিয়ার সাহেব ভাঙ্গা গলায় বললেন, বলুন কি করতে হবে আমাকে?
আপনার এই রিপোর্টটা ভুল।
জ্বী।
মেয়েটা রেপড হয়েছিল এর আলামত পাওয়া গিয়েছিল?
জ্বী।
আপনি এখন যেটা করবেন নতুন করে রিপোর্টটা লেখবেন। যা ঘটেছিল তাই লিখবেন। কি লিখবেন না?
জ্বী সার।
গুড।
ফরম তো হাসপাতালে।
ওবায়েদ সাহেব অমায়িক হাসি হাসলেন, ও নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ফরম আমরা সাথে করেই নিয়ে এসেছি।
ডাঃ শাহরিয়ার এক্ষণ পূর্ণদৃষ্টিতে মানুষটাকে দেখলেন। এতটা বিস্মিত তিনি জীবনে খুব কমই হয়েছেন। মানুষটা প্রস্তুতি নিয়েই ডাঃ শাহরিয়ার খসখস করে নতুন করে লিখে দিলেন।
ওবায়েদ সাহেব পলকে চোখ বুলিয়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললে, শাহরিয়ার সাহেব, কথা দিয়েছি যখন আজকের পর আমাকে আপনি আর দেখবেন না। কিন্তু এই প্রার্থনাও করি, এমন একটা দিন যেন আপনার জীবদ্দশায় আপনাকে কখনই দেখতে না হয়। আপনার মেয়েকে আমার শুভেচ্ছা দিয়েন। বাই।"
('খোদেজা' থেকে।)
*উক্ত রিপোর্টটির সঙ্গে 'খোদেজা'- এই ফিকশনের সঙ্গে কোন যোগসূত্র নাই। সাত বছরের খোদেজা নামের অভাগা মেয়েটির সঙ্গে প্রায় একই কিন্তু আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু সে ভিন্ন প্রেক্ষাপট।
No comments:
Post a Comment