অমরবাণী, "সুখে থাকলে ভূতে কিলায়"।
আমার তুচ্ছবাণী, "কিম্ভূতকিমাকার ভূত, তার সঙ্গে খেলি কুৎ কুৎ"। কেন রে বাওয়া, ভূতের সঙ্গে খেলতে যাওয়া! খেলায় হেরে গেলে ভূত যে মানবসৃষ্ট আইন মেনে চলবে এর নিশ্চয়তা কোথায়? পিঠে দুমদুম করে কিল মারার বদলে সে যদি কচকচ করে চিবিয়ে ফেলে এর দায় কে নেবে?
সরকার বাহাদুর ১৯ জুন মধ্যরাত থেকে ঘড়ির কাঁটা ১ ঘন্টা এগিয়ে আনবেন। এতে নাকি দেশে ৫ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এটা ভাবলেই বুকটা আনন্দে ভরে উঠে।
আমাদের দেশের অঘটন-ঘটন-পটিয়সী আমলা নামের মহোদয়গণের অঙ্গুলিনির্দেশে এটা চালু হচ্ছে। এঁরা এটাও ঘটা করে জানাচ্ছেন, কোন কোন দেশে এটা চালু আছে। আমেরিকা, মঙ্গলগ্রহ, অতলস্পর্শ নিতল ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে দেশের অধিকাংশ লোকজনকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তার জন্ম কত সালে? তখন একটা উত্তর কমন পড়ে, 'বড় তুফানডার সময় হইছিলাম' বা 'বড় ঢলডার (বন্যা) সময় হইছিলাম'। ওইসব দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা মন্দ না!
এই হয়েছে এক মুশকিল, কেউ কেউ অতুগ্র আগ্রহে হার্ড-কোর পর্ণ দেখে আসন রপ্ত করতে গিয়ে বাস্তবে হতাশ হন। কেন হতাশ হন এটা এদের কে বোঝাবে?
আবার এও বলা হচ্ছে স্কুল-কলেজের সময়সূচী পরিবর্তন হবে না। অদ্ভুতদর্শন এই ইযারকিটা ভাল হয়েছে, এক হাতে দুইটা ঘড়ি পরার চল চালু হবে। অদ্যাবধি পাগল ব্যতীত কেউ তো আর পরেনি!
আচ্ছা, পত্রিকায় দেখলাম, নামাজের সময় নির্ধারনের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন বায়তুল মোকাররমের খতিব এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বেশ। কিন্তু এতো সোজা- এই দেশের মসজিদ মাদ্রাসাগুলো কী এঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন! কওমি মাদ্রাসা নামের একটা প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই দেশের কোন আইনের ধার ধারেন না। আমাদের সরকার বাহাদুর কী জানেন, কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত দূরঅস্ত, কোন প্রকার খেলা দূরের কথা, মাঠে যাওয়াই নিষেধ। সাইকেল চালালে, পত্রিকা পড়লে কঠিন শাস্তি পেতে হয়- কড়িকাঠে গামছা দিয়ে বেঁধে হুজুররা দল বেঁধে পেটান। তো, এমন একটা প্রতিষ্ঠান, কওমি মাদ্রাসা কী তাদের নামাজের সময়সূচি পরিবর্তন করবে? আমার আকর্ণবিস্তৃত হাসি- লেট সী!
গোটা দেশে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে এটা চোখ বুজে বলে দেয়া যায়। সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত হবে, মুখনিঃসৃত যে বাণীগুলো বেরিয়ে আসবে, হারপিক দিয়ে কুলি করেও কূল পাওয়া যাবে না।
সাধারণ লোকজনদের ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে মাথাব্যথা নাই। নাকি দেশ কোন সুপার হাইওয়ের সঙ্গে দেশ যুক্ত হলো, কী হলো না। সাবমেরিন ক্যাবল কোন মাথামোটার কারণে অনেক বছর পর যুক্ত হলো, এইসবে তাঁদের কিছুই যায় আসে না। মোটা ভাত, মোটা কাপড়ের মানুষ অতি জটিলতা পছন্দ করে না।
এর কিছু নমুনা আমরা দেখেছি, তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সাধারণ জনগণের দৃষ্টিতে তত্বাবধায়ক সরকারের অনেক ভাল কাজগুলো কমোডে ফ্লাশ হয়ে গেছে। কেবল দ্রব্যমূল্যের অগ্নিমূল্য এবং হাট-বাজার ভাংচুর, এই দুইটাই যথেষ্ঠ।
সেই যে এদের কফিনে পেরেকটা আটকালো আর খোলা গেল না।
আমার ধারণা, চৌকশ একজন মানুষ খানিকটা চেষ্টা করলেই সিস্টেম লস কমিয়ে, সততার সঙ্গে খানিকটা সমন্বয় করেই ৫ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারতেন। হুলস্থুল করে কফিনে পেরেক ঠোকার জন্য উদগ্রীব হওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Tuesday, June 16, 2009
ডে-লাইট সেভিং নামের কফিনের পেরেকটা!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment