বিভিন্ন পদের 'ল্যাকক' দেখি আর মুগ্ধ হই! ল্যাকক হওয়ার তরিকার শেষ নেই- আহারে, আহারে। এক জীবনে কত কিছু করতে হয়। অসম্ভব জনপ্রিয় লেখককেও সাক্ষাৎকারে বলতে হয়, আমি নিজের আনন্দের জন্য লিখি। তা বেশ তো, দেওয়ালে পা তুলে দিয়ে পায়ের সঙ্গে যুক্ত রেখে পেট ভাসিয়ে নিজের লেখা নিজে পড়লে হয়। তা না, বইমেলায় শত-শত ছোকরা-ছুকরিকে বাদ্যসহ নাচানাচি করাতে হয়। কী কষ্ট-কী কষ্ট! কষ্ট করে লেখো আবার ইয়েদের মত ইয়েটা মেলে দাও।
যাগ গে, এই ছবি নিয়ে বলি :
এখানে আলোচনায় দুইজন। প্রথম জন হচ্ছেন রাইসু মহোদয়। তিনি লুঙ্গি 'পড়ে' বইমেলায় চলে এসেছেন। লুঙ্গি পরা দোষের না তবে পড়া দোষের। এই জীবন্ত কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখে শব্দের অপচয় করি না কারণ শব্দের ভান্ড শ্যাষ! তাঁর ওই কোবতে সেই কবে পড়েছি কিন্তু এখনও ঘোর কাটেনি [১]।
সঙ্গে যিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি আরেফিন মহোদয়। ওহ, বলতে ভুলে গেছি ল্যাককদেরও আবার ঘরানা আছে মানে বিভিন্ন ঘরানার হন আর কী। দলছুট হওয়ার সুযোগ নেই। প্রথম আলোর কল্যাণে তাঁকে আমরা বিলক্ষণ চিনি। প্রথম আলোর আলোকিত সর্দাররা চিনিয়ে দিলে না-চিনে উপায় কী!
যাই হোক, তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় কেবল বুক চিতিয়েই দাঁড়াননি জানাচ্ছেন বইয়ের সর্বশেষ সংবাদ। সেটা অবশ্য দোষের না। এখানে তিনি জানাচ্ছেন, ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দ্বিতীয় মুদ্রণের '...খাঁ' সাইন করলাম ১১৭টা আর গত বছরের '...গ্রাউন্ড' ২৬ খানা।
পাক্কা হিসাব! কোথাও ভুল হওয়ার অবকাশ নাই। এক্ষেত্রে আমার দুইটা গল্প মনে পড়ছে। একটা হচ্ছে ডিকেন্সের 'আ টেল অভ টু সিটিজ'-এর সেই জনতা যে গিলোটিনে বিচ্ছিন্ন মাথার হিসাব রাখছে, ২০...২১...২২...২৩...! বড় উপভোগ্য বিষয় যেন একটা, কাজ-কাম নাই! আর অন্যটা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক ভদ্রমহিলা যিনি জেনারেলের কাছে কঠিন বিচার দিলেন, 'আপনার ১২৪ জন সৈন্য...'! না থাক, এ গল্প বলা যাবে না।
সহায়ক সূত্র:
১. কাল-নটেশ কালবৈশাখী এক লেখক: https://www.ali-mahmed.com/2017/11/blog-post_30.html
No comments:
Post a Comment