হ্যারি
নাৎসিদের পোশাক পরে এক পার্টিতে গেলে ভারী গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের 'দ্য সান' ম্যাগাজিন খবরটা প্রথম ফাঁস করেছিল। কাগজে বড়-বড় করে
ছবি। হ্যারির এক হাতে ধরা মদের গ্লাস আর অন্য হাতে সিগারেট। হ্যারির
হাসিমুখ ছবি। হাতের বাজুতে বাঁধা ব্যান্ডে
স্বস্তিকার চিহ্ন। কলারে ব্যাজও আঁটা রয়েছে জার্মান ভারমাখট অর্থাৎ নাৎসি
প্রতিরক্ষা বাহিনীর। পাশে হেডলাইন 'হ্যারি দ্য নাজি'।
প্রথমে যে জ্যাকেট পরে গিয়েছিলেন তিনি, তাতে ছিল নাৎসিদের পতাকা। আর জ্যাকেট খুলতেই ভেতরে খাকি শার্টে নাৎসি ব্যাজ আর আর্মব্যান্ড।
সান লিখেছিল: "...HAS Prince Harry lost all sense of reality? He will be joining the British Army in five months - the same Army that lost thousands fighting the Nazi menace..."
বিচিত্র জাতি এরা! সামান্য পোশাকে কি আসে যায়! এই নির্বোধরা আমাদের দেখে শেখে না কেন? 'বাং-নাৎসিদের' গাড়িতে পতপত করে উড়ানো পতাকায় আমরা স্যালুটও করেছি! আর আমাদের আল মাহমুদ [১] নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের একজন দাবী করে অমর হবার বাসনা পোষণ করেন আবার 'বাং-নাৎসিদের' চেরাগ ঘষেন, অবিরাম!
তো, হ্যারীর কুকীর্তির জন্য ইহুদিদের ক্ষুদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ ব্রিটিশদের কাছে হিটলারের সময়ে এই নাৎসি প্রতীক ছিল অত্যন্ত ঘৃণার। প্রিন্স হ্যারির পোশাকটি ছিল জেনারেল এরউইন রোমেলের মরুযুদ্ধের ইউনিফর্মের অনুকরণে তৈরি। নাৎসি রোমেলকে বলা হতো 'মরুশৃগাল। তার 'আফ্রিকা করস'-এর হাতেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীসহ প্রচুর লোক মারা যায়।
সেই রোমেলের পোশাক পরে হ্যারির পার্টিতে যাওয়াটাকে নিয়ে তখন ব্রিটেনের রাজ পরিবারও বিব্রত-বিরক্ত হয়েছিল। তাছাড়া ওই সময়ে উদযাপন করবার কথা অসউইটজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে মুক্তির ষাটতম বার্ষিকী। এই কুখ্যাত ক্যাম্পটিকে রাশিয়ার রেড আর্মি এসে জার্মানদের হাত থেকে মুক্ত করে পোল্যান্ডকে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২৭ জানুয়ারী, ২০০৭ সালে সেন্ট জেমস প্যালেসে আহবান করেছিলেন তাঁদের, যাঁরা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। এ ছাড়াও আমন্ত্রিত ছিলেন সেই সময়কার ব্রিটিশ সেনারাও।
জার্মানি চেকোস্লাভাকিয়া আক্রমণ করার পরই আরম্ভ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সব মিলিয়ে চার কোটি লোক মারা যায়। তার মধ্যে আনুমানিক ষাট লক্ষ ইহুদি। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের নৃশংস, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। শুধু ইহুদি নয়, বেছে বেছে অত্যাচার করা হয়েছিল রুশ সৈনিক এবং পোলদের উপরেও। এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৪৫ সালে।
হ্যারির এই কর্মকান্ডের কারণে রাজ-পরিবারের পক্ষ থেকে ক্লারেন্স হাউসের প্রেস অফিস তখন হ্যারির ক্ষমা চেয়ে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেছিল। তাতে হ্যারি লিখেছিল, 'সরি, আমার পোশাকের নির্বাচন অত্যন্ত বাজে হয়েছিল। যদি এতে কারও কষ্ট হয়ে থাকে, তা হলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি'।
সহায়ক সূত্র:
১. আল মাহমুদ: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/blog-post_234.html
ছবি ঋণ: 'দ্য সান'
প্রথমে যে জ্যাকেট পরে গিয়েছিলেন তিনি, তাতে ছিল নাৎসিদের পতাকা। আর জ্যাকেট খুলতেই ভেতরে খাকি শার্টে নাৎসি ব্যাজ আর আর্মব্যান্ড।
সান লিখেছিল: "...HAS Prince Harry lost all sense of reality? He will be joining the British Army in five months - the same Army that lost thousands fighting the Nazi menace..."
বিচিত্র জাতি এরা! সামান্য পোশাকে কি আসে যায়! এই নির্বোধরা আমাদের দেখে শেখে না কেন? 'বাং-নাৎসিদের' গাড়িতে পতপত করে উড়ানো পতাকায় আমরা স্যালুটও করেছি! আর আমাদের আল মাহমুদ [১] নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের একজন দাবী করে অমর হবার বাসনা পোষণ করেন আবার 'বাং-নাৎসিদের' চেরাগ ঘষেন, অবিরাম!
তো, হ্যারীর কুকীর্তির জন্য ইহুদিদের ক্ষুদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ ব্রিটিশদের কাছে হিটলারের সময়ে এই নাৎসি প্রতীক ছিল অত্যন্ত ঘৃণার। প্রিন্স হ্যারির পোশাকটি ছিল জেনারেল এরউইন রোমেলের মরুযুদ্ধের ইউনিফর্মের অনুকরণে তৈরি। নাৎসি রোমেলকে বলা হতো 'মরুশৃগাল। তার 'আফ্রিকা করস'-এর হাতেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীসহ প্রচুর লোক মারা যায়।
সেই রোমেলের পোশাক পরে হ্যারির পার্টিতে যাওয়াটাকে নিয়ে তখন ব্রিটেনের রাজ পরিবারও বিব্রত-বিরক্ত হয়েছিল। তাছাড়া ওই সময়ে উদযাপন করবার কথা অসউইটজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে মুক্তির ষাটতম বার্ষিকী। এই কুখ্যাত ক্যাম্পটিকে রাশিয়ার রেড আর্মি এসে জার্মানদের হাত থেকে মুক্ত করে পোল্যান্ডকে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২৭ জানুয়ারী, ২০০৭ সালে সেন্ট জেমস প্যালেসে আহবান করেছিলেন তাঁদের, যাঁরা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। এ ছাড়াও আমন্ত্রিত ছিলেন সেই সময়কার ব্রিটিশ সেনারাও।
জার্মানি চেকোস্লাভাকিয়া আক্রমণ করার পরই আরম্ভ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সব মিলিয়ে চার কোটি লোক মারা যায়। তার মধ্যে আনুমানিক ষাট লক্ষ ইহুদি। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের নৃশংস, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। শুধু ইহুদি নয়, বেছে বেছে অত্যাচার করা হয়েছিল রুশ সৈনিক এবং পোলদের উপরেও। এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৪৫ সালে।
হ্যারির এই কর্মকান্ডের কারণে রাজ-পরিবারের পক্ষ থেকে ক্লারেন্স হাউসের প্রেস অফিস তখন হ্যারির ক্ষমা চেয়ে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেছিল। তাতে হ্যারি লিখেছিল, 'সরি, আমার পোশাকের নির্বাচন অত্যন্ত বাজে হয়েছিল। যদি এতে কারও কষ্ট হয়ে থাকে, তা হলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি'।
সহায়ক সূত্র:
১. আল মাহমুদ: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/blog-post_234.html
ছবি ঋণ: 'দ্য সান'
No comments:
Post a Comment