আমি অতি আস্থার সঙ্গে বললাম, ওহো, এটা তো
সোজা! খবিস মানে খবিস।
তিনি চিড়বিড় করে উঠলেন, আমার সঙ্গে চালবাজি
করবা না। জানলে বলো; না-জানলে না বলো।
আমার আস্থায় এবার চিড় ধরল, খবিস মানে ইয়ে
আর কী! আরে বুঝলা না। আচ্ছা, তোমাকে আমি পরে বলছি।
এবার তিনি রক্তচক্ষু মেলে বললেন, হাহ, পরে!
খবরদার-খবরদার বলছি অভিধানে হাত দিবা না। এ্যাহ,
এ আবার লেখালেখি করে, ‘ছইদালি’ কোথাকার। আমি এটা বেশ জানি এক পাতা লিখতে
তুমি দশটা বানান ভুল করো। হাতের নাগালে অভিধান না-থাকলে তুমি এক লাইনও লিখতে পারো
না। আমি তোমার হৃদয়বান পাঠক না যে তোমার ছাইপাশকে লেখা বলব।
আস্থা মিলিয়ে গেছে কবে এবার আমার গলা থেকে
চিঁ চিঁ স্বর বের হয়, দেখো, এই সব বাইরের লোকজন জানার দরকার কী! যে দু-চারজন পাঠক আমার লেখা পড়ে এরাও মুখ, না-না ভুল বললাম চোখ ফিরিয়ে নিলে আমার উপায় কী, বলো! শেষঅবধি
আমার লেখা আমাকেই পড়তে হবে। সে যে কী কষ্ট-কষ্ট! আহা, আমি তো সেইসব লেখক না যে গালে
হাতদেওয়া পোজ দিয়ে রাশভারী গলায় বলব, আমি তো কেবল আমার নিজের আনন্দের জন্যই লিখি।
এই পর্যায়ে এসে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
ফেললেন, আর একটা কথা না। খবিশ কি জানলে বলো নইলে চুপ, একদম চুপ।
আমি এবার অনেক ভেবেচিন্তে বললাম, ইয়ে মানে খবিস
হচ্ছে ইয়ে আর কী...।
No comments:
Post a Comment
আপনার যে কোন মত জানাতে পারেন নিঃসঙ্কোচে, আপনি প্রাসঙ্গিক মনে করলে।