Tuesday, September 1, 2009

জ্ঞান উবাচ বনাম মূর্খ উবাচ


(শ্রীকৃষ্ণ শ্রীভগবানুবাচ) 
সঞ্জয় কহিলেন:
"দেখ পার্থ নিরখিয়া দেখ এইক্ষণ 
ভীষ্ম দ্রোণ কর্ণ আদি কুরুযোদ্ধাগণ।। 
গুরুজন সহোদর আর পিতামহ 
মাতুল শ্বশুর মিত্র পুত্রপৌত্রসহ।। 
বিপক্ষে হেরিয়া সব আত্মীয়-স্বজন 
দয়াযুক্ত মনে পার্থ বলেন বচন।।" 
(হে অর্জুন, ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ আসল কুরুযোদ্ধাগণকে চাহিয়া দেখপার্থ-অর্জুন গুরুজন, পিতামহ, মাতুল, শ্বশুর এবং বন্ধুগণকে দেখিলেনতাঁহাদের সকলকে বিপক্ষে দেখিয়া দয়াযুক্ত হইয়া দু:খিত মনে শ্রীকৃষ্ণকে বলিলেন।) 
প্রথম অধ্যায়, ২৫-২৬-২৭ 

অর্জুন কহিলেন: 
"কাঁপিতেছে শরীর দেহ রোমহর্ষ হয় 
হাত থেকে খসে ধনু গাত্র জ্বালাময়।। 
মারিয়া স্বজনগণে শ্রেয়ঃ নাহি রণে 
চাহি না বিজয় কৃষ্ণ রাজ্য সুখ ধনে।।" 
(আমার শরীর কাঁপিতেছে ও রোমহর্ষ হইতেছেআমার হাত হইতে ধনু খসিয়া পড়িতেছে, গা জ্বলিতেছে)স্বজনকে মারিয়া মঙ্গল হইবে নাহে কৃষ্ণ, আমি জয় চাই না এবং রাজ্য, সুখ, ধনও চাই না 
প্রথম অধ্যায়, ২৯-৩১ 

শ্রীকৃষ্ণ কহিলেন: 
"অশোচ্যের তরে শোক নাহি মুখে প্রজ্ঞাবাণী 
মৃতে বা জীবিতে শোক নাহি করে জ্ঞানী।।" 
(হে অর্জুন, যাহাদের জন্য শোক করা উচি নয় তুমি তাহাদের জন্য শোক করিতেছ; অথচ জ্ঞানীর মত কথা বলিতেছজ্ঞানী ব্যক্তি মৃত বা জীবিতের জন্য কখনও শোক করে না) 

"নাহি যদি কর এই ধর্মযুদ্ধ তবে 
স্বধর্ম ও কীর্তি ছাড়ি পাপভাগী হবে।।" 
(তুমি যদি এই ধর্মযুদ্ধ না কর তবে তোমার স্বধর্ম ও কীর্তি নষ্ট হইবে, তোমার পাপ হইবে।) 
দ্বিতীয় অধ্যায়, ১১-৩৩ 
........ 
কুরুপান্ডবদের সেই যুদ্ধে বন্ধু ও আত্মীয়দের প্রতি অস্ত্র না ধরার জন্য উদারহৃদয় হলধারী বলদেব কোন পক্ষে যোগদান না করে যে নদীতীরে মনে বৈরাগ্য নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং যেখানে তাঁর স্ত্রী রেবতী বলদেবের অতি প্রিয় সুরা এনে দিলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সরস্বতি নদীতীরে গিয়ে সমাধি অবলম্বন করেছিলেন 
(মেঘদূত/ কালিদাস) 

*আলোচ্য ধর্মনুসারে তিনি-বলদেব মোটেও জ্ঞানী ছিলেন না।
(এই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায়, একজন কঠিন ধার্মিককে ধর্মের নামে কাউকে খুন করতে বলা হলে তিনি বিমলানন্দে খুন করবেন কিন্তু একজন মানবিক মানুষ স্বর্গের লোভেও এটা করতে রাজি হবেন না)।

11 comments:

  1. মৃদুল আদিত্য রায়July 24, 2010 at 2:21 AM

    বলতে বাধ্য হচি্ছ আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিলেন...

    একটু উদাহরন দিই...ধরুন...আপনি আইন রক্ষা বাহিনীর একজন,তো আপনার উপর যাদের হত্যা করে সমাজ রক্ষার ভার পড়েছে,তারা আপনার আত্মীয়...তো আপনি কি করবেন ?? অসম্ভব নয় এক্ষেএে অজুনের মত আপনার পরিস্হীতি হওয়া....এক্ষেএে উদার হৃদয় হলে কোন মূল্য নেই....

    ReplyDelete
  2. "বলতে বাধ্য হচি্ছ আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিলেন..."
    আমি তো এখানে কোন ব্যাখ্যা দেই নাই, ফ্যাক্টস লিখেছি। লিখেছি, আলোচ্য ধর্ম অনুসারে বলদেব মোটেও জ্ঞানী, অপাপবিদ্ধ ছিলেন না। কারণ শ্রীকৃষ্ণই বলছেন,
    "অশোচ্যের তরে শোক নাহি মুখে প্রজ্ঞাবাণী
    মৃতে বা জীবিতে শোক নাহি করে জ্ঞানী।।"
    আবারও এও বলছেন,
    "নাহি যদি কর এই ধর্মযুদ্ধ তবে।
    স্বধর্ম ও কীর্তি ছাড়ি পাপভাগী হবে।।"
    তাহলে ধর্মমতে, বলদেব জ্ঞানী এবং অপাপবিদ্ধ ছিলেন না।
    আমি এটাই বলতে চেয়েছি।

    "আপনি আইন রক্ষা বাহিনীর একজন,তো আপনার উপর যাদের হত্যা করে সমাজ রক্ষার ভার পড়েছে,তারা আপনার আত্মীয়...তো আপনি কি করবেন ?"
    আপনার উদাহরণ মুদ্রার একপিঠ ঠিক আছে কিন্তু মুদ্রার অন্য একটা পিঠও আছে।
    আমার মধ্যে যদি সামান্য বিবেচনা বোধ থেকে থাকে তাহলে আমার কোন প্রিয় মানুষ কোন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করলে আমি ওখান থেকে সরে যাব। কারণ পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    যেটা অনেক বিচারক করে থাকেন। তিনি বিব্রত বোধ করলে সেই বিচার কার্য থেকে সরে যান।

    নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করলে, কোন যুদ্ধ অন্যায় মনে হলে একজন সেটা থেকে সরে আসতেই পারেন, এই কারণে তার উপর জোর খাটানো চলে না।
    যেটা আমি বলার চেষ্টা করেছি, একজন কঠিন ধার্মিককে ধর্মের নামে কাউকে খুন করতে বলা হলে তিনি বিমলানন্দে খুন করবেন কিন্তু একজন মানবিক মানুষ স্বর্গের লোভেও এটা করতে রাজি হবেন না।

    আমার মত হচ্ছে, পৃথিবীতে একেকজনের মিশন একেক রকম। আপাতত দৃষ্টিতে কিছু কিছু অধার্মিক, বোকা থাকতেই পারে। ধরা যাক, আমাকেই যদি রাষ্ট্র বলে, রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য তুমি জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হও। আমি তো জল্লাদ হবো না, প্রয়োজনে কারাবাস বেছে নেব। কেন? এই বোকামির কোন উত্তর আমার কাছে নাই...। @মৃদুল আদিত্য রায়

    ReplyDelete
  3. মৃদুল আদিত্য রায়July 24, 2010 at 11:05 PM

    উত্তর পড়ে একপ্রকার হেসে ফেল্লাম...আপনি ভুল ভাবে ফ্যাক্ট ব্যাখা করছেন....

    "আমার মধ্যে যদি সামান্য বিবেচনা বোধ থেকে থাকে তাহলে আমার কোন প্রিয় মানুষ কোন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করলে আমি ওখান থেকে সরে যাব। কারণ পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    যেটা অনেক বিচারক করে থাকেন। তিনি বিব্রত বোধ করলে সেই বিচার কার্য থেকে সরে যান।"-----

    ----এটা বোঝানোর জন্য ভগবান তা বলেননি..এ ধরনের ত্যাগের উদাহরন মহাভারতে প্রচুর পাবেন..যেমন ভীষ্মের,যুথিষ্ঠির ওদের ।
    এখানে নিজের কতব্য কাজ থেকে যেন কেউ ভয়ে বা দুবলতার কারনে পিছিয়ে না আসে তা বলা হয়েছে...এখানে অজুনের সব ধরনের পরিস্থীতি সামলানোর ক্ষমতা ছিল কিন্তু মনো দুবলতার কারনে অজুন পিছিয়ে গিয়েছিল...যে ভয়ে ঠিক আপনিও পিছিয়ে আসতে চাচ্ছেন । আমাদের মুক্তিযুদ‌্ধের সময় সবাই হয়ত সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেনি...কিন্তু নিজ নিজ ক্ষেএে থেকে দেশের জন্য যুদ্ধ করাটা সবার কতব্য । আর বিচারক বিব্রত বোধ করে সরে আসাটা কি ভাল দিক ?? এটা কি ঐ বিচারকের ব্যথতা নয় ?? আপনি + পয়েন্ট হিসেবে কেন দেখচ্ছেন ?? আর দয়া করে কতব্য এবং ঐচ‌ছিক কাজের মধ্যে গুলিয়ে ফেলবেন না :)

    নিজের স্বল‌প জ্ঞানে এসব কথা বললাম,যদি মনে কষ্ট দিয়ে থাকি নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন..এই প্রাথনা...ও আমি কিন্তু আপনার লেখার নিয়মিত পাঠক..কিন্তু খুব কম লিখেন যে ????...

    ReplyDelete
  4. "উত্তর পড়ে একপ্রকার হেসে ফেল্লাম..."
    যুদ্ধের যেমন কিছু নিয়ম আছে তেমনি মন্তব্য চালাচালিতেও। সবিনয়ে বলি, কারও যুক্তি খন্ডনের চেষ্টা দেখে হেসে ফেললে তার প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ পায়। হোক না সে মানুষটা স্বল্প বুদ্ধির, তাতে কী আসে যায়!

    "এটা বোঝানোর জন্য ভগবান তা বলেননি.."
    ভগবান! এখানেই হচ্ছে মুল সমস্যা। আপনার বিশ্লেষণ নির্মোহ না। কারও প্রতি অনুরাগ-বিরাগ নিয়ে তাঁর প্রতি সঠিক বিশ্লেষন করা চলে না।

    রাগ-অনুরাগ-বিরাগ, এসবের বাইরে থেকে আমি শ্রীকৃষ্ণকে দেখছি অতি মহৎ একটা চরিত্র হিসাবে। এমন একটা চরিত্র যাকে দেখতে হয় মাথা উঁচু করে। কিন্তু পাহাড়কে যখন মাথা নীচু করে দেখতে হয় তখন বুকের গভীর থেকে দুঃখের শ্বাস বেরিয়ে আসে।
    ১. যুদ্ধের সমস্ত নীতি ভঙ্গ করে ভীম কাপুরুষের ন্যায় দুর্যোধনের নাভির নীচে আঘাত করেছিলেন।
    ২. শিখন্ডীকে সামনে রেখে ভীষ্মকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
    ৩. যুধিষ্ঠিরকে দিয়ে অম্বত্থামার মিথ্যা মৃত্যুসংবাদ বলিয়ে দ্রোণাচার্যকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
    ৪. কর্ণ যখন তাঁর বসে যাওয়া রথের চাকা তুলছিলেন তখন যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে অর্জুন তাঁকে হত্যা করেছিলেন।
    এই সমস্ত ঘোর অন্যায়গুলো করা হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ-এর প্ররোচনায়। আপনি কি মনে করেন না, শ্রীকৃষ্ণের মত মহান একজনের পক্ষে এই আচরণগুলো করা যথার্থ হয়নি?

    প্রত্যেক ধর্মের মূল শক্তি হচ্ছে বিশ্বাস, তীব্র অনুরাগ, এখানে তর্ক অচল। প্রায় প্রত্যেক ধর্মের কঠিন নির্দেশনা হচ্ছে, ওই ধর্মই সঠিক, ওটায় ভুলভালের কোন সম্ভাবনা নাই- অন্য ধর্মগুলো খেলনা। ওই ধর্মেই মুক্তি, অন্য সব ফেলনা!
    লিংকটা দেখুন: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_06.html

    ধন্যবাদ আপনাকে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে আর আলোচনা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি না। অন্য কোন লেখায় সানন্দে মন্তব্য করুন। ভাল থাকুন :)@মৃদুল আদিত্য রায়

    ReplyDelete
  5. মৃদুল আদিত্য রায়July 27, 2010 at 4:06 PM

    যুক্তি খন্ডনের চেষ্টা যদি হাস্যকর লাগে তবে হাসাটাই আমার কাছে উচিতই মনে হয়,অন্তত এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে....আর তাচ্ছিল্য প্রকাশ করতে হলে আগেই করতাম ,,কষ্ট করে এগুলো লিখতাম না ।

    ---ভগবান! এখানেই হচ্ছে মুল সমস্যা। আপনার বিশ্লেষণ নির্মোহ না। কারও প্রতি অনুরাগ-বিরাগ নিয়ে তাঁর প্রতি সঠিক বিশ্লেষন করা চলে না। ---

    আমার এখানে কোন সমস্যা নাই,যেহেতু আমি একজন বিশ্বাসী , আপনার থাকলে থাকতে পারে । আর আমি আপনার লেখার বিপক্ষে ঐ ধর্মে গ্রন্থ থেকেই বিভিন্ন যুক্তি দিচ্ছি,এক্ষেএে বিশ্বাসের প্রশ্ন বোধহয় না আনলেও চলে । আমার যুক্তি গুলো খন্ডন করে দিলেই হলো । আর আপনি যে নির্মোহ তাই বা বুঝি কিভাবে ??

    --"এই সমস্ত ঘোর অন্যায়গুলো করা হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ-এর প্ররোচনায়। আপনি কি মনে করেন না, শ্রীকৃষ্ণের মত মহান একজনের পক্ষে এই আচরণগুলো করা যথার্থ হয়নি?
    "---

    না আমি মনে করিনা । তারা প্রত্যকে এ ধরনের শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত ছিল,ছলে বলে কৌশলে দুষ্কৃতকারীকে দমন করতে হয়.. অবাক লাগছে..আপনি কি মহাভারত ভালভাবে পড়েন নি ?? কেন ওদের সাথে এমন অন্যায় আচরন করা হল তা তো আপনি মহাভারত পড়লেই জানতে পারবেন ।আপনার মত মানুষ এমন অল্প বিদ্যার জোর দেখাবেন এটা প্রায় অবিশ্বাস্য ।

    ----"প্রত্যেক ধর্মের মূল শক্তি হচ্ছে বিশ্বাস, তীব্র অনুরাগ, এখানে তর্ক অচল। প্রায় প্রত্যেক ধর্মের কঠিন নির্দেশনা হচ্ছে, ওই ধর্মই সঠিক, ওটায় ভুলভালের কোন সম্ভাবনা নাই- অন্য ধর্মগুলো খেলনা। ওই ধর্মেই মুক্তি, অন্য সব ফেলনা!"-----

    আর হ্যাঁ জানিনা বুঝবেন কিনা...আপনি আপনার এই যুক্তির পক্ষে একটি শ্লোক উল্লেখ করেছেন....

    শ্রীভগবানুবাচ:
    "শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণ: পরধম্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ
    স্বভাবনিয়তং কর্ম কুর্বন নাপ্নোতি কিল্বিষম।"
    (স্বধর্ম দোষযুক্ত হইলেও পরধর্ম হইতে বড়। যে স্বধর্ম পালন করে তাহার কোন পাপ হয় না)
    (শ্রীমদ্ভগবদগীতা, অষ্টাদশ অধ্যায়, ৪৭)


    এখানে নিজ ধর্ম বলতে যে, যা কাজ করে(কতব্য) এটাকেই বোঝানো হয়েছে..অজুনের ধর্ম হল যুদ্ধ করা কারন সে একজন ক্ষএিয়,তেমনি ব্রাক্ষ্মনের ধর্ম হল পূজা অচনা ও জ্ঞান দান...আর পরধর্ম সম্পকে কি বলা আছে জানেন না ?? "যত মত তত পথ"..এটা বেদ সমথিত বাক্য ।

    দয়া করে যা ইচ্ছা হয় তা লেখার নীতি থেকে সরে আসুন ।

    ReplyDelete
  6. "...অবাক লাগছে..আপনি কি মহাভারত ভালভাবে পড়েন নি ??...।"
    আমার তো মনে পড়ছে না, এগুলো আপনি মেইলে আমাকে পাঠিয়েছিলেন!
    ১. যুদ্ধের সমস্ত নীতি ভঙ্গ করে ভীম কাপুরুষের ন্যায় দুর্যোধনের নাভির নীচে আঘাত করেছিলেন।
    ২. শিখন্ডীকে সামনে রেখে ভীষ্মকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
    ৩. যুধিষ্ঠিরকে দিয়ে অম্বত্থামার মিথ্যা মৃত্যুসংবাদ বলিয়ে দ্রোণাচার্যকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
    ৪. কর্ণ যখন তাঁর বসে যাওয়া রথের চাকা তুলছিলেন তখন যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে অর্জুন তাঁকে হত্যা করেছিলেন।

    "কেন ওদের সাথে এমন অন্যায় আচরন করা হল তা তো আপনি মহাভারত পড়লেই জানতে পারবেন..."
    কোন মহাভারত? যেটা কেবল আপনিই পড়েন, সেটা!

    "আপনার মত মানুষ এমন অল্প বিদ্যার জোর দেখাবেন এটা প্রায় অবিশ্বাস্য ।...।"
    কে বলেছে আমার বিদ্যা আছে। সব তো আপনি গুলে খেয়ে বসে আছেন, পরম-বিদ্যান!

    "...আর পরধর্ম সম্পকে কি বলা আছে জানেন না ?? 'যত মত তত পথ'..এটা বেদ সমথিত বাক্য ।"
    জ্বে না, জানি না। কেবল জানি, অধিকাংশ ধর্মেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা হয়, সাদাকে কালো বলিব, তোমরাও বলিবা।

    "যা ইচ্ছা হয় তা লেখার নীতি থেকে সরে আসুন ।"
    আমার লেখা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমি কাউকে দেই না, নিজেকেও না। সরে আসতে পারছি না বলে দুঃখ প্রকাশ করি।
    আর আপনি পরম-জ্ঞানী, আপনার মনন স্পর্শ করার ক্ষমতা আমার নাই। উত্তম হয়, আপনার জ্ঞান আপনার সমপর্যায়ের কারও সঙ্গে শেয়ার করুন।
    অন্য কেউ হলে তাকে আমার এখানে খুরাঘাত করতে নিষেধ করতাম। কিন্তু আপনি পরম-জ্ঞানী, আপনাকে তো এটা বলা যায় যায় না তাই আপনাকে সবিনয়ে বলি, আপনি এখানে পদধুলি না দিলে সুখি হই। কারণ আমার আবার ধুলায় সমস্যা হয়, ডাস্ট এলার্জি।

    আগাম ধন্যবাদ আপনাকে, এখানে আর মন্তব্য না করার জন্য। @মৃদুল আদিত্য রায়

    ReplyDelete
  7. মৃদুল আদিত্য রায়July 28, 2010 at 12:31 AM

    কত সহজ না ??? কারো ধম সম্পকে যা ইচ্ছ লিখলাম ?? কেউ আঘাত পেলো কিনা ভাবলাম না ...নিজের মত করে ব্যাখ্যা করলাম , যুক্তির ধার ধারলাম না ,কেউ যুক্তি দিলে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে গেলাম...ওফ দারুন..না ???

    লেখার নিয়ন্ত্রণ না থাকাটা বেশ অহংকারের কথা ...জানলাম , কিন্তু নিজে হুমায়ূন আহমেদকে সাবধানে লেখার পরামশ দেয়..হায়রে লেখক...!

    আর আমি তো আপনার এখানে আসবই , কারন ব্লগ টা আপনার হলেও কে পড়বে আর কে পড়বেনা ,কিম্বা কে মন্তব্য করবে আর কে মন্তব্য করবে না এটা আপনি নিধারন করেননি....তাই আপনার আগাম ধন্যবাদ গ্রহন করতে পারলাম না...তাই বলছিলাম কি ধূলা তো আটকাতে পারবেননা..ঔষধই বরং খান ,ডাস্ট এলার্জি খুবই খারাপ রোগ যে ।

    ReplyDelete
  8. Ai post a ami to kono somossa dekchi na!!! Dadar somossa ki?

    ReplyDelete
  9. জ্ঞানী লোকজনদের সমস্যার যে অন্ত নেই...@Sameer

    ReplyDelete
  10. helll roy, apni ki bolte chaichen? golam azam tar boner janaja porae jonno kichu somoyer jonno mukti peyeche. akhon baire asar somoy ba janaja porar somoy sorkar take mere felbe. chagol!

    ReplyDelete
  11. "...ভোরবেলায় উঠে পাঁচটি সতীকে স্মরণ করতে বলা হয়েছে। এই পঞ্চকন্যা নাকি মহাপাতকনাশিনী। এরা হলেন, দ্রৌপদী, অহল্যা, কুন্তী, তারা, মন্দোদরী।
    ইন্দ্র গৌতম ঋষির বেশ ধরে অহল্যাকে ধর্ষণ করেছিলেন। কুন্তী বিয়ের আগে সূর্যের ঔরসে কর্ণের জন্ম দিয়েছিলেন। এবং পান্ডুর সঙ্গে বিয়ের পরও দেবতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পঞ্চপুত্র উৎপন্ন করেছিলেন..."।
    (নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সানন্দা, ৭.০১.৯৪, পৃ নং: ২২)
    তবুও গাইব ইন্দ্রের জয়গান!

    "...শ্রীকৃষ্ণের বোন রাজকন্যা সুভদ্রাকে দেখে অর্জুন মুগ্ধ হয়ে গেলেন। অজুর্নের মনের ইচ্ছা বুঝতে পেরে কৃষ্ণ বললেন, 'ক্ষত্রিয়দের নিয়ম আছে তাঁরা পছন্দমত কোনো মেয়েকে জোর করে ধরে নিয়ে বিয়ে করতে পারে। তুমিও আমার বোন সুভদ্রাকে হরণ করে বীরের মত ইন্দ্রপ্রস্থে চলে যাও...'।"
    (মহাভারত, সুভদ্রা হরণ)
    চমৎকার এক দৃষ্টান্ত!


    ReplyDelete

আপনার যে কোন মত জানাতে পারেন নিঃসঙ্কোচে, আপনি প্রাসঙ্গিক মনে করলে।