গাতক সাহেবের যে ঘানগুলো(!) শুনলাম। কোনটারই কথা মনে রাখার মত কিছু ছিল না, না সুর! হাওয়ায় ভেসে মিলিয়ে যায় এমন ঘান(!)...। এই হয়েছে এক জ্বালা! একটা গানের ক্যাসেট বের করেই একজন স্টার বনে যান। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পোজ দিয়ে, জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলা শুরু করেন, অর্ধেক কথা পেটে, অর্ধেক মুখে। স্টার বলে কথা!
এই গাতক মহোদয় না শিখেছেন বাংলা ভাষাটা, না শিখেছেন সহবত-ম্যানার। আসলে না বলে বলছিলেন, আছোলে, আছোলে আমি...। বেচারাকে খুব একটা দোষ দেই না, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত বাংলা ভাষাটা শুদ্ধ করে বলতে পারেন না। আমাদের এক্স অধ্যাপক কাম পেরসিডেন্ট(!) ইয়াজউদ্দিন সাহেব এর একটা প্রকট নমুনা! প্রকট না লিখে উৎকট লিখতে পারলে আরাম পেতাম। জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণের ৫ মিনিটের মাথায় ২২টা ভুল-অশুদ্ধ শব্দ নোট করেছিলাম।
তো, গাতক সাহেব পুরো অনুষ্ঠানে ঠ্যাং-এর উপর ঠ্যাং তুলে বসে ছিলেন। ঠ্যাং-এর উপর ঠ্যাং তুলে বসা যাবে না এমন কোন কথা নাই। কিন্তু উনার কেডসের তলা দেখা যাচ্ছিল। কে বোঝাবে এই বালককে, জেন্টেলম্যান নর্ম বলে কিছু বিষয় আছে, ঠ্যাং-এর উপর ঠ্যাং তুলে বসা যাবে কিন্তু জুতার তলা দেখা যাওয়াটা বৈসাদৃশ্য! ভাগ্যিস, জুতার তলায় গোবর বা ইয়ে ছিল না তাহলে সর্বনাশ হয়ে যেত!
...
*আজ ২৮ নভেম্বর, ২০০৯: 'দেশ টিভি'তে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গানের এক অনুষ্ঠান শুরু হল। মিনিট পাঁচেক ধরে উপস্থাপিকা এক ঘাতকের(!)গুণগান গাইলেন। যেভাবে তিনি বলছিলেন, আমি ভাবছিলাম, এই দেশে এমন গানের ভুবনের আকাশের স্টারটা কে? হা ঈশ্বর, এ দেখি হৃদয় খান নামের ওই ছোকরাই। এই ছোকরা তো এখনও বসাই শেখেনি! অনেকক্ষণ লাগিয়ে তার গাওয়া গানগুলো শোনার বোঝার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। লাইভ অনুষ্ঠান, এরিমধ্যে বাপ্পা মজুমদার ফোন করে লম্বা লম্বা শাবাসি দিলেন। আসলে বাপ্পা, পুতুলের মত উপস্থাপিকারাই হচ্ছেন নাটের গুরু- এদের কারণেই হৃদয় খানের মত অপদার্থরা স্টার হয়ে বসে থাকেন, ফাঁকতালে আমরা ঝলসে যাই।
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=4752
ReplyDeleteএক এক জনের পছন্দ, মানসিকতা, আবেগের প্রকাশ এক এক রকম, আমি যেটা বুঝি না, সেটা কোন জিনিসই না, একদম ফালতু, এরকম মনে করার কোন কারন নেই।
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDelete