ভীষ্ম দ্রোণ কর্ণ আদি কুরুযোদ্ধাগণ।।
গুরুজন সহোদর আর পিতামহ।
মাতুল শ্বশুর মিত্র পুত্রপৌত্রসহ।।
বিপক্ষে হেরিয়া সব আত্মীয়-স্বজন।
দয়াযুক্ত মনে পার্থ বলেন বচন।।"
(হে অর্জুন, ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ আসল কুরুযোদ্ধাগণকে চাহিয়া দেখ। পার্থ-অর্জুন গুরুজন, পিতামহ, মাতুল, শ্বশুর এবং বন্ধুগণকে দেখিলেন। তাঁহাদের সকলকে বিপক্ষে দেখিয়া দয়াযুক্ত হইয়া দু:খিত মনে শ্রীকৃষ্ণকে বলিলেন।)
প্রথম অধ্যায়, ২৫-২৬-২৭
গুরুজন সহোদর আর পিতামহ।
মাতুল শ্বশুর মিত্র পুত্রপৌত্রসহ।।
বিপক্ষে হেরিয়া সব আত্মীয়-স্বজন।
দয়াযুক্ত মনে পার্থ বলেন বচন।।"
(হে অর্জুন, ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ আসল কুরুযোদ্ধাগণকে চাহিয়া দেখ। পার্থ-অর্জুন গুরুজন, পিতামহ, মাতুল, শ্বশুর এবং বন্ধুগণকে দেখিলেন। তাঁহাদের সকলকে বিপক্ষে দেখিয়া দয়াযুক্ত হইয়া দু:খিত মনে শ্রীকৃষ্ণকে বলিলেন।)
প্রথম অধ্যায়, ২৫-২৬-২৭
অর্জুন কহিলেন:
"কাঁপিতেছে শরীর দেহ রোমহর্ষ হয়।
হাত থেকে খসে ধনু গাত্র জ্বালাময়।।
মারিয়া স্বজনগণে শ্রেয়ঃ নাহি রণে।
চাহি না বিজয় কৃষ্ণ রাজ্য সুখ ধনে।।"
(আমার শরীর কাঁপিতেছে ও রোমহর্ষ হইতেছে। আমার হাত হইতে ধনু খসিয়া পড়িতেছে, গা জ্বলিতেছে)স্বজনকে মারিয়া মঙ্গল হইবে না। হে কৃষ্ণ, আমি জয় চাই না এবং রাজ্য, সুখ, ধনও চাই না।
প্রথম অধ্যায়, ২৯-৩১
শ্রীকৃষ্ণ কহিলেন:
"অশোচ্যের তরে শোক নাহি মুখে প্রজ্ঞাবাণী
মৃতে বা জীবিতে শোক নাহি করে জ্ঞানী।।"
(হে অর্জুন, যাহাদের জন্য শোক করা উচিৎ নয় তুমি তাহাদের জন্য শোক করিতেছ; অথচ জ্ঞানীর মত কথা বলিতেছ। জ্ঞানী ব্যক্তি মৃত বা জীবিতের জন্য কখনও শোক করে না)।
"নাহি যদি কর এই ধর্মযুদ্ধ তবে।
স্বধর্ম ও কীর্তি ছাড়ি পাপভাগী হবে।।"
(তুমি যদি এই ধর্মযুদ্ধ না কর তবে তোমার স্বধর্ম ও কীর্তি নষ্ট হইবে, তোমার পাপ হইবে।)
দ্বিতীয় অধ্যায়, ১১-৩৩
........
কুরুপান্ডবদের সেই যুদ্ধে বন্ধু ও আত্মীয়দের প্রতি অস্ত্র না ধরার জন্য উদারহৃদয় হলধারী বলদেব কোন পক্ষে যোগদান না করে যে নদীতীরে মনে বৈরাগ্য নিয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং যেখানে তাঁর স্ত্রী রেবতী বলদেবের অতি প্রিয় সুরা এনে দিলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সরস্বতি নদীতীরে গিয়ে সমাধি অবলম্বন করেছিলেন।
(মেঘদূত/ কালিদাস)
*আলোচ্য ধর্মনুসারে তিনি-বলদেব মোটেও জ্ঞানী ছিলেন না।
(এই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায়, একজন কঠিন ধার্মিককে ধর্মের নামে কাউকে খুন করতে বলা হলে তিনি বিমলানন্দে খুন করবেন কিন্তু একজন মানবিক মানুষ স্বর্গের লোভেও এটা করতে রাজি হবেন না)।
(মেঘদূত/ কালিদাস)
*আলোচ্য ধর্মনুসারে তিনি-বলদেব মোটেও জ্ঞানী ছিলেন না।
(এই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায়, একজন কঠিন ধার্মিককে ধর্মের নামে কাউকে খুন করতে বলা হলে তিনি বিমলানন্দে খুন করবেন কিন্তু একজন মানবিক মানুষ স্বর্গের লোভেও এটা করতে রাজি হবেন না)।