Search

Thursday, December 18, 2014

মহাপুরুষ-‘মহাউলুস’!

মহাপুরুষরা আজকাল ‘মহাউলুস’ হয়ে গেছেন। ‘উলুস’ অভিধানে কেবল পাওয়া যেতে পারে জীবিত হলে। আঞ্চলিক ভাষায় ‘উলুস’ হরদম বলা হলেও এর ভাল নাম ছারপোকা।
বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকায় ঢাউস যে ছবিটা আমরা দেখতে পাচ্ছি এটায় বসুন্ধরার মালিকপক্ষ। এরা দুস্হদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। সাধু-সাধু! ওই আসে মহাপুরুষ...।
ছবি সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
চমৎকার একটা একটা ছবি বটে! বাংলা সিনেমায় যেমন পুলিশের লম্বা চুল দেখে আমরা হাসি চাপি তেমনি এই ছবিটা দেখেও হাসি চাপা মুশকিল হয়ে পড়ে। হোয়াট আ পোজ! কই হাত কই মাথা! ভাব দেখে মনে হচ্ছে, ক্যামেরাবন্দি না-হওয়া পর্যন্ত কম্বল ছাড়াছাড়ি নাই। মহতরমা কম্বল ছেড়ে দিলে কী হবে কম্বল তো ছাড়ে না! আহা, ছবির সঙ্গে তথ্যগুলো মিলিয়েও পাঠক যদি বুঝতে না পারেন ঠিক কে কম্বল দিল তখন কী উপায় হবে গো। পাঠক বেচারাকে তো আর এই তকলিফ দেওয়া চলে না।

যাই হোক, কম্বল বিতরণ করছেন আহমেদ সোকহানের সহধর্মিণী আফরোজা বেগম তার সঙ্গে আছেন ওগো বিদেশীনি পুত্রবধু বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফায়েত সোবহান সানভিরের ইস্তারি সাহেবা এভলিনা সোবহান। সাফায়েত সোবহান সানভির সাহেবও আছেন।
ওহো, আমার স্মৃতিবিভ্রম না-হয়ে থাকলে ইনিই তো সেই সানবির যিনি সাব্বির খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন?
...২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে সাব্বির খুন হন। সানবীর এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান আসামি ছিল। একপর্যায়ে সানবীর বিদেশে পালিয়ে যান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তাঁকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছিলেন । সানবীরকে মামলা থেকে রক্ষা করতে বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে বাবরকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি গ্রেপ্তারের পর স্বীকার করেছিলেন।...

ভাল কথা, তা এই সানবীর মহোদয় কি খুনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন? উত্তর যদি না হয় তাহলে এই দেশের তো উফর-ফাঁফর, দমবন্ধ অবস্থা। বেচারা দেশ, শ্বাস নেয় কেমন করে?

No comments: