Search

Thursday, September 18, 2014

বেচারা হারাধন এবং জিঘৃক্ষা।

গতকালই বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সংসদ। ‘খুল্লামখুল্লা’ দলীয়করণের জন্য এই একটা প্রতিষ্ঠানই অবশিষ্ট ছিল, ঘটা করে এরও সমাপ্তি হলো। হারাধনের সবগুলো ছেলের অপঘাতে মৃত্যুর পর গভীর শ্বাস ছেড়ে বলি, বেচারা, বেচারা হারাধন!
কী কাকতালীয়! আবার ঠিক ওদিনই সাঈদীর রায়। সাঈদীর রায়ের নীচে চাপা পড়ে গেল এই সংবাদ।

স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া’ পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে। 
…প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করে। এর মধ্যে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সব অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেন। আর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী আসামির মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে রায় দেন।“…(সূত্র: http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article853547.bdnews)

বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সমস্ত অভিযোগ থেকে সাঈদীকে যে পরিত্রাণ দিয়েছেন এর পেছনে নিশ্চয়ই তাঁর অকাট্য যুক্তি, আইনি বর্ণনা রয়েছে। এই বিচারকের এহেন রায়ও গ্রহণ করতে আমার কোনও আপত্তি নাই কারণ আমার জিঘৃক্ষা অতি উচ্চ স্তরের!
কেবল...সাঈদীর বিরুদ্ধে এতো সব প্রমাণ থাকার পরও কেন সাঈদী নিষ্পাপ-নিরপরাধ স্রেফ এই বিচারকের ব্যাখ্যাটাই জানতে তীব্র আগ্রহ বোধ করছি। না-জানা পর্যন্ত আরাম পাচ্ছি না!
ভবিষ্যতে আইন কলেজে যে তাঁর এই যুগান্তকারী রায় পড়ানো হবে, আইনজীবীরা অন্য মামলার যুক্তিতর্কে একে-অন্যকে এই রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কুপোকাৎ করে ফেলবেন এতে কোনও সন্দেহ নেই।  

No comments: