Search

Saturday, February 15, 2014

ভারত, বাহুত বাড়া গণতান্ত্রিক কান্ট্রি!

এটা শুনে শুনে কানের পোকা নড়ে গেছে যে ভারতের গণতন্ত্রের চর্চা অনেক পুরনো। বটে রে, এর নমুনা তো হালেই দেখলুম। ভারতের লোকসভায় বেজায় মারামরি হলো যে। কেবল মারামারি! ছুঁরি দেখানো, টেবিল-মাইক ভাঙ্গাই না; গোল মরিচের গুঁড়াও নিক্ষেপ করা হয়েছে। অবশেষে বেশ ক-জন সংসদ সদস্যকে এম্বুলেন্সে চ্যাংদোলা করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলো।

মরিচের গুঁড়া ছিটানোর বিষয়টা আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। আচ্ছা, তাহলে দাদারা কী মরিচের গুঁড়া ধুতির খুঁটে করে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন? বেশ-বেশ! এমনিতে দাদারা কী ভেবে গোলমরিচ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন যে লোকসভায় নিজেরাই নিজেদের ইয়ে ভেজে খাবেন? শেষে নিজেদের ইয়ে খুঁজে না-পেয়ে মনের দুঃখে ছিটিয়ে দিলেন। তাই হবে। 

অবশ্য এমনিতে দাদারা পরম সহিষ্ণু। এরা নিজেরা না-খেয়ে ফেনসিডিল আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেন। যেমনটা পাঠান মেয়াদ উত্তীর্ণ দুধ। নিজেদের শহরের সমস্ত বর্জ্য দিয়ে ভাসিয়ে দেন আমাদের দেশ [১]। নো ম্যানস ল্যান্ডে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারে বেড়া দিয়ে মুড়িয়ে দেন। আমাদের সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন করেন [২] সামান্য টাকা দিয়ে আমাদের দেশে নিজেদের জন্য আলাদা দুই দুইটা রেললাইন পেতে ফেলেন। কত্তো উপকার যে করেন আমাদের দাদারা সে লিখে শেষ করা যাবে না।

বুঝলেন, আমি গোলমরিচ নিয়ে ভারী চিন্তায় আছি। এরা তো রাশি-রাশি মলও বহন করেন- ভাগ্যিস, সেটা ছিটিয়ে দেননি। সম্ভবত ধুতির খুঁটে আটকে গিয়েছিল।

সহায়ক সূত্র:
১. দাদাদের দান: http://www.ali-mahmed.com/2014/01/blog-post_14.html

No comments: