Search

Saturday, July 27, 2013

গুন্টার গ্রাস এবং তাঁর নাৎসি কানেকশন!

জার্মানির লেখক গুন্টার গ্রাস। চমৎকার একজন লেখক এবং মানুষ, গুন্টার গ্রাস। ২০০১-এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, '...ইসরাইল যেভাবে প্যালেস্তাইনের জমি দখল করেছে, তা রীতিমতো অপরাধ। ইসরাইলের উচিত ওই সব এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া...'।

ছবি ঋণ: নাসির আলী মামুন
এমনিতে এই ভদ্রলোক যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন বলেছিলেন, 'নোবেল হচ্ছে এক বস্তা গু'!

 
রুচিশীল পাঠকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, ভদ্রলোক যে বাক্যটাই ব্যবহার করেছিলেন তা বাংলায় অনুবাদ করলে তাই দাঁড়ায়। পাঠকের গা গুলালে 'গু'-এর স্থলে পড়বেন, 'সু'।
কিন্তু বিদেশী এই সাহেবকে যখন সত্যি সত্যি নোবেল দেয়া হলো তখন তিনি সবগুলো দাঁত বের করে, বউকে বগলদাবা করে ফটোসেশনও করলেন! যাই হোক, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।

নোবেল বিজয়ী গুন্টার গ্রাস, জীবনের শেষ সময়ে এসে ধিকৃত হচ্ছিলেন। কেন? তাঁর নাৎসি কানেকশনের জন্য। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি কিন্তু তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে নিজেই স্বীকার করেছিলেন, নাজির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭! তিনি ছিলেন নাৎসি বাহিনী 'ভ্যাফেন-এসএস'-এর সদস্য।
কিন্তু তারপরও পৃথিবীব্যপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল! তাঁর নোবেল প্রাপ্তিও জলে ভেসে গেল। এমনি-কি তাঁর নিজের শহরের লোকজনেরাও তাঁকে ক্ষমা করেনি, ছাড় দেয়নি!

আরেক নোবেল বিজয়ী লেচ ওয়ালেসা বলেছিলেন: গুন্টার গ্রাস যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকার কারণে বিতর্কিত, গুন্টারের উচিত হবে পোলিশ শহর গদানস্কের সম্মানসূচক নাগরিক এই খেতাবটি স্ব-ইচ্ছায় ছেড়ে দেয়া। ১৯২৭ সালে গুন্টার গ্রাস পোলিশ শহর গদানস্কে জন্মগ্রহন করেছিলেন...।

*এর আগে লিখেছিলাম, নাজির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটা পোশাক পরার কারণে প্রিন্স হ্যারিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10151542048122335&set=a.10151298132117335.465193.723002334&type=1
*আর আমাদের বাংলাদেশে? বাংলাদেশের একজন অন্যতম কবি আল মাহমুদ প্রকাশ্যে বাং-নাৎসিদের সমর্থনই দেন না পারলে তাদের জন্য প্রাণও বিলিয়ে দেন! আবার লেখাপড়া জানা মানুষ, একজন চিকিৎসক Afm Tareq Bhuiyan এসে আমাকে নসিহতও দেন, "...standard ektai rakhun: good and evil..." 
কী আস্পর্ধা! এদের দুঃসাহস দেখে হাঁ হয়ে যাই।
সহায়ক সূত্র:
১. মুক্তিযোদ্ধা (!), একজন কবি আল মাহমুদ!: http://www.ali-mahmed.com/2013/07/blog-post_234.html
 

No comments: