Search

Saturday, July 17, 2010

এই সব পতাকার গতি কী!

গতকাল সাদিকসহ অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি ইশকুলেও [১] যাওয়া হয়েছিল। সাদিকের এই আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে। চিপস কিনেছে কিন্তু দুজন বাচ্চার জন্য এক প্যাকেট করে। আমি বললাম, আরে, মারামারি করবে তো।
সাদিকের বক্তব্য এরা ভাগাভাগি করে খাওয়া শিখুক। গুড, আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে।

ইশকুল ড্রেস দেয়াটা একটা কাজের কাজ হয়েছে। একেকজনকে দেখি দাঁত আর কোনটাই দেখাতে বাকী রাখে না। 
একজনকে আবার দেখলাম অতি উৎসাহে ড্রেসের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে ইশকুল ব্যাগও নিয়ে এসেছে। এটা কিনে দিতে  বায়নার জন্য হয়তো বাবা-মার হাতে দু-চারটা চড়-থাপড়ও খেয়েছে। 
এটা নিয়ে এখনই কিছু বললাম না কিন্তু এটা একটা খারাপ উদাহরণ। ইশকুলটা এদের বাড়ির ভেতরেই বলে ব্যাগটা বাহুল্য। তাছাড়া অন্য বাচ্চাদের জন্য অহেতুক প্রতিযোগিতার চাপ সৃষ্টি করবে।

আমি মাস্টার মশাইয়ের উপর খানিকটা বিরক্ত। কিছু বাচ্চা এসেছে ইশকুল ড্রেস ছাড়া! কিন্তু কারণটা জানার পর বিরক্তি উবে যায়। ময়লা হওয়ায় ড্রেস ধুয়ে দেয়া হয়েছে, শুকায়নি। এর উপর তো আর কথা চলে না। তাই তো কিন্তু এখনই সবার জন্য আরেক প্রস্থ ইশকুল ড্রেস বানিয়ে দেয়াটা তো সম্ভব না।

সাদিকের মাথায় নানা ভাবনা খেলা করে। ভাবনাগুলোর মূল বিষয় হলো, কেমন করে সাশ্রয় করা যায়। আমার হলো উল্টোটো, কেমন করে খরচ করা যায়।

খেলা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের উম্মাদনা [২] এখনও শেষ হয়নি! এখনো অন্য দেশের পতাকা উড়ছে পতপত করে। যথারীতি নির্বোধদের নির্বুদ্ধিতার নমুনায় আমাদের পতাকাসহ!
সাদিককে আমি কি এক প্রসঙ্গে বলেছিলাম, আচ্ছা, বিশ্বকাপের কারণে যে লাখ-লাখ গজ কাপড়ের অন্য দেশের পতাকা বানানো হয়েছে এগুলোর এখন গতি কী!  কি করা হবে এইগুলো দিয়ে?

সাদিক বলছিল, ভাল কথা, এইগুলো কালেক্ট করে ইশকুল ড্রেস বানালে কেমন হয়?
আমি মুখ শুকিয়ে বলি, হুম। তা এগুলো দিবে কে!
চেয়ে দেখতে দোষ কি।
আমি জানি ফলটা কি হবে তবুও কয়েকজনকে বলেছিলাম, ফল যা হওয়ার তাই হলো। কোন সাড়া পাওয়া গেল না। একেকজন একেক চালবাজির কথা বলেন। কেউ স্মারকচিহ্ন হিসাবে রেখে দিতে চান, তো কেউ এটা দিয়ে ডাইনিং টেবিল, টিভি টেবিলের আচ্ছাদন বানাবেন। 
একজনের কথা শুনে খুই চমৎকৃত হলাম, তিনি বললেন, আগামি বছর আবারও খেলা হলে এটা কাজে লাগবে। বলিহারি! ফিফা ব্যাটাদের বলতে হবে এরা যেন ফি বছর বিশ্বকাপের আয়োজন করে!

আরে, আমি কেবল পতাকার কাপড় নিয়ে বলছি কেন? পাশাপাশি বাঁশগুলোর কি গতি হবে এটাও নিয়েও তো ভাবা প্রয়োজন। আমি বলি কি, বাঁশও রাখুন। বাঁশগুলো কোথায় রাখবেন এটা নিজেরাই ঠিক করুন।

সহায়ক লিংক:
১. ইশকুল এবং বিবিধ: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_9016.html
২. উম্মাদনা: http://www.ali-mahmed.com/2010/07/blog-post_5250.html  

No comments: