গ্লোবাল ভয়েসে সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়েছে কাটছাঁট করে, জায়গার সমস্যা এবং বিবিধ কারণে, উপায় ছিল না। সাক্ষাৎকারটির পুরোটা ছাপা হয়েছে সামহোয়্যারের এখানে।
সাক্ষাৎকারে একটা প্রশ্ন ছিল এমন:
প্রশ্ন: আপনি কমিউনিটি প্লাটফর্মের ব্লগিং দিয়ে শুরু করেছিলেন- এখন স্বতন্ত্র সাইটে লিখছেন। এর সুবিধা- অসুবিধা সম্পর্কে আমাদের জানাবেন।
উত্তরটা ছিল, খানিকটা এখানে তুলে দিচ্ছি:
"কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মে যিনি লেখালেখি করেন তিনি কিন্তু থাকেন পুরোপুরি অরক্ষিত- আঘাতটা আসতে পারে যে কোন দিক থেকে এটা জেনেশুনেই একজন এখানে লেখালেখি করেন; কিন্তু একটা কথা মনে রাখলে আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল, যুদ্ধেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, একজন বেশ্যারও কিছু অধিকার থাকে। কমিউনিটি প্লাটফর্মে আমাদের সহনশীলতারও বড়ো অভাব, আমরা একে অন্যকে সহ্য করতে পারি না।"
প্রশ্নের উত্তরে আমি যেটা বলেছিলাম, "যুদ্ধেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়..."।
বিস্তারিত বলি, ভীমকে আমি বড়ো যোদ্ধা বলে স্বীকার করি না কারণ তিনি যুদ্ধের নিয়ম ভেঙ্গে দুর্যোধনের কোমরের নীচে আঘাত করেছিলেন। এই কাজ করার জন্য প্ররোচনাকারী শ্রীকৃষ্ণের গৌরবও খাটো হয়! এ অন্যায়!(মহাভারত)
রামের মত একজন অতি বড়ো বীর যখন বিন্দুমাত্র সতর্ক না করে সুগ্রীবের ভাই বালী-কে প্রাণনাশী অস্ত্র ছুঁড়ে মারেন তখন তিনি সাধারণ একজন যোদ্ধার ভূমিকায় চলে আসেন! (রামায়ন)
সামহোয়্যারের ওই পোস্টে একজন পাঠকের একটা মন্তব্য আছে, "শুভ কে? আজাইরা প্রতিযোগীতা।"
এখানে আমার খানিকটা বলার আছে। ধরা যাক, যে পাঠক এই মন্তব্যটা করেছেন তিনি খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(!), ছদ্মবেশে আছেন আর কী! তবুও তিনি এই মন্তব্যটা করতে পারেন না কারণ পোস্টটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (!) পড়ে থাকলে জানার কথা ওখানে আমি দীর্ঘ সময় লেখালেখি করেছি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (!) না হয়ে থাকলেও একটু বলার আছে। আমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত, এই নিকটার অনেক পূর্ব থেকেই আমি এখানে লিখতাম। ন্যূনতম সম্মানটা কেন থাকবে না? একজন মানুষের কাছ থেকে মানুষের আচরণ কেন আমি আশা করতে পারবো না?
এখন আসব পরের কথায়। 'আজাইরা প্রতিযোগিতা'। বড় একটা প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং এই প্রথম বাংলা ভাষা এখানে যোগ হয়েছে। যে কোন ভাবেই হোক বাংলাদেশের নাম আসবে এটা কি কম পাওয়া? এক্ষণ যদি আমাকে বলা হয় আপনি এখান থেকে সরে গেলে বাংলাদেশের নামটা আরও বিপুল আকারে আসবে। আমি দ্বিতীয়বার ভাবনা না, এখান থেকে সরে যাব।
আমি কায়মনে চাইব, বাংলাদেশ নামের অভাগা দেশটার নাম যেন পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়ে। সাদা বান্দরগুলো যেন বলতে না পারে 'ভেংলাডেশ' কি ইন্ডিয়ার প্রভিন্স?
আমি স্বপ্ন দেখি, এই গ্রহে লোকজন বাংলাদেশকে কেবল তাচ্ছিল্যের চোখে না দেখে সমীহের চোখে দেখছে? আমাদের দেশের পচে যাওয়া রাজনীতিবিদরাই কেবল এই দেশের সন্তান না, রাগিব হাসানের মত এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বুক দিয়ে আগলে রাখেন এই দেশের পতাকা।
একজন রাগিব হাসান যখন গুগলে যোগ দেন তখন বাংলাদেশের পক্ষে যে অসাধারণ কাজটা হয় সেটা আমরা শত-শত মানুষ মিলেও করতে পারি না!
এই প্রতিযোগীতায় কিছু আরবি ব্লগ দেখে আমার মাথা খারাপের মত হয়ে গেল, ওদের হাজার-হাজার মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছে। আর কিচ্ছু না, ওদের দেশের গন্ধটা ছড়িয়ে দিতে হবে পৃথিবীময়!
কোথাও আমি লিখেছিলাম, মানুষের বাচ্চা মানুষের দুধ খাবে, পশুর না। ওই লেখার সঙ্গে যোগ করি, মানুষের মাথায় মানুষের মগজ থাকবে, পশুর না।
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Tuesday, April 13, 2010
সাক্ষাৎকার: সামহোয়্যার এবং অতঃপর...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comment:
Great
Post a Comment