*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Tuesday, September 22, 2009
গণতন্ত্রের শেকলে বাঁধা নগ্ন একজন মানুষ
সুমি জানালা দিয়ে দূরে তাকিয়ে আছে, আচ্ছা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লে কী হয়!
ওর দৃষ্টিতে রাজ্যের বিষণ্নতা! হা ঈশ্বর, এ লজ্জা কোথায় রাখি? এ পাহাড়সম অপমান আমি লুকাব কোথায়! বাবার সামনে দাঁড়াব কী করে, চোখ তুলে তাকাব কেমন করে?
অথচ বাবা কী সহজ আচরণই করছেন। মানুষটাকে এ অভিনয় করতে কী অমানুষিক কষ্টই না করতে হচ্ছে।
অসামান্য একটা ঘটনা আমুল বদলে দিয়েছে ওদের অসম্ভব সুন্দর এই পৃথিবীটা। কেন এই বেঁচে থাকা- জীবনটা মনে হচ্ছে একটা গা ঘিনঘিনে ঘেয়ো কুকুর!
ওর বাবা একটা ক্ষমাহীন অপরাধ করেছিলেন। হরতালের দিনে অফিস যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ভদ্রলোকের সন্তানেরা তার বাবাকে একটা কঠিন শাস্তি দিয়েছে। না, মেরে ফেলেনি। মেরে ফেললেই হয়তো ভাল হতো অন্তত এ অপমানের বোঝা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হত না।
বাবাকে-বাবাকে, ওর প্রিয় বাবাকে, ওরা মধ্য রাস্তায় একেক করে কাপড় খুলে উলঙ্গ করে ফেলেছিল। পত্রিকাওয়ালারা ঘটা করে এ ছবি পত্রিকায় ছাপিয়েছে। একজন কাতর মানুষের ছবি। তথাকথিত গণতন্ত্রের শেকলে বাঁধা একজন নগ্ন মানুষ। পরিবারের শেকলে বাঁধা একজন দুর্বল মানুষ, যার আত্মহত্যা করার সাহসটুকুও নেই।
এ বড়ো বিচিত্র দেশ, এখানে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে একজন মানুষের মুখের কথায় ‘হরতাল’ নামের একটা শেকল গোটা দেশটাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে। বিশাল এক কারাগারে আটকে ফেলা যায় কোটি কোটি মানুষকে! নপুংসক কোটি-কোটি মানুষ হাঁ করে তাকিয়ে থাকে আকাশ পানে। কখন, কোন সেই শুভক্ষনে অন্য গ্রহ থেকে নেমে আসবে কৌপিন পরা কোন এক মহাপুরুষ। গণতন্ত্রের এই নোংরা শেকল ভেঙে মেঘ গর্জনে বলবে, হে সৃষ্টির সেরা জীব, আজ থেকে তোমরা মুক্ত, স্বা-ধী-ন।
ফ্রী- ড-ম!
*পুরনো লেখা কিন্তু পছন্দের। পোস্টের সঙ্গে ছবিটার একটা শানে-নজুল আছে। কয়েদীর ওই অংশটুকু লেখার সূত্র এটা। এর মূল হোতা মিডিয়ার একজন সেলিব্রেটি (যিনি টিভিতে লম্বা লম্বা বাতচিত করে আমাদেরকে শেখান, নসিহত করেন), যিনি যুগ্ন-সচীব পদমর্যাদার এই মানুষটার একেক করে কাপড় খুলে ফেলেছিলেন, ভদ্রলোক হরতালে অফিস যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এই অপরাধে।।
সহায়ক লিংক:
১. কয়েদির অংশবিশেষ: http://www.ali-mahmed.com/2009/02/blog-post_18.html
বিভাগ
সাদাকে কালো বলিব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
নগ্ন করে দেয়ার এই আইডিয়ার আবিষ্কারক স্বয়ং শেখ হাসিনা। তিনি তার দলের 'কাছের' কর্মীদের নগদ টাকা দিতেন নগ্ন করে দেয়ার বিনিময়ে। এবং তিনি নগ্ন করার জন্য গোপন নির্দেশ দিতেন। শেখ হাসিনার একজন ব্যক্তিগত সচিব আমাকে এই কথা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নাই বিধায় মন্তব্য করতে পারছি না। @Anonymous
Post a Comment