মি. বাটা যখন মারা যান তখন অনেকেই শোক প্রকাশ করেছিলেন, "সাবচে বাড়া মুচি মার গিয়া" (অনেক বড় মুচি মারা গেল)। বাটা সাহেবের প্রতি আমারও আলগা মমত্ব বোধ থাকার কারণ ছিল এই, তাঁর সহযোদ্ধা আমার আবার লাংগোটিয়া দোস্ত ছিল।
সবচে বড় সুদখোরকে যখন নোবেল ধরিয়ে দেয়া হলো তখন অনেকেই উল্লসিত হলেন। হিংসুকরা বলে বেড়াতে লাগল, ক্লিনটন, হিলারী ক্লিনটনকে শুটকির ভর্তা খাইয়ে লবিং করিয়েছিলেন। আর নরওয়ে নাকি 'অন দ্য ওয়ে' হয়েই ছিল।
বটি! বাহে, আপনারা এই সহজ হিসাবটা কষেন না কেন? হিসাবটা সহজ। কোটি-কোটি শিশুর প্রাণ বাঁচালো ওর-স্যালাইনের আবিষ্কার, তারচে যে লাগামছাড়া সুদের ব্যবসা বড়ো এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ কোথায়! কোটি-কোটি মানুষ হাসতে হাসতে সৃষ্টিছাড়া সুদ দিতে থাকবে, তুচ্ছ প্রাণ নষ্ট হবে এ আর কী!
যাই হোক, নোবেল পাওয়াটা চাট্টিখানি কথা না। গুন্টার গ্রাস যখন এই দেশে আসলেন তখন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'নোবেল হচ্ছে এক বস্তা টাট্টি'। আসলে তিনি হুবহু এটা বলেছিলেন, 'নোবেল হচ্ছে এক বস্তা গু'। গু শব্দটায় অনেকের বমন উদ্রেক হয় বিধায় শব্দটা আমি বদলে দিলাম। তো, এই ভদ্রলোককে যখন এই জিনিস দেয়া হলো তখন বউকে বগলদাবা করে প্রায় সবগুলো দাঁত বের করে ফটোসেশন করলেন। নোবেল বলে কথা!
সুদখোর সাহেব নোবেল পাওয়ার পর জনগণের উল্লাস ছাপিয়ে গিয়েছিল জনদরদীদের 'কুল্লাস'! এ নিয়ে সংসদে তুমুল বচসা হচ্ছিল। হাইকাউ এ কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না! স্পিকার দমাদম হাতুড়ী পেটাচ্ছেন, কিসের কী। মাইক বন্ধ করেও কোন তারতম্য হলো না। সংসদ সদস্যরা খালি গলায় যে গলাবাজী করছেন, মাইক না থাকলেও কী আসে যায়!
সমস্যাটার উদ্ভব হয়েছে নোবেলটা আসলে কোন দল (কোন্দল না) পেয়েছে, এইটা নিয়ে? সব দলই দাবী করছে এটা তাদের কৃতিত্ব! কোন ভাবেই এ বিতর্কের মিমাংসা হলো না!
সবচেয়ে বেশী হইচই করছিলেন দুইটা প্রধান দল। এরাই বহু বছর ধরে দেশটার চাকা ঘুরাচ্ছেন বনবন করে! এঁরা না থাকলে এ দেশের হাল সম্ভবত ঈশ্বরও ধরতেন না!
স্পিকার প্রথম দলের প্রধানকে বললেন পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য বলার জন্য।
ওই দলের প্রধান বললেন, চিলকন্ঠে, ‘এই অর্ডার আমি মানতে পারুম না, দাঁড়াইতে পারুম না, আমার পায়ে বিষ (ব্যথা)। তো, আমার বক্তব্য হইল, তাইনে যে নুবেলডা পাইছে, এইটা আমাদের আমলে পাইছে। এইটার কেরতিত্ব আমাদের। জান দিমু কিন্তু আমরা এই নুবেলের এক কুনাও দিমু না।’
দ্বিতীয় দলের প্রধান মুহাহা করে হেসে বললেন, ‘তাইলে আমিও পয়েন্ট অভ অর্ডারে দাঁড়ামু না, মিডল অভ অর্ডারে বইসা কমু। আমি পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমার অনেকগুলা ডিগ্রি। আমি এই নুবেলটা নিতে রাজী হই নাই বইলাই এইটা হেই মিয়ারে দেয়া হইছে। কার আমলে? এইটা কি আকথা কুকথা। আমাদের আমলেই এই পরতিষ্ঠানটা কলাগাছের মতো হওয়া শুরু করছিল। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়া দিমু কিন্তু নুবেল ছাড়ুম না। এইটা আমরাই পাইছি।'
তৃতীয় দলের প্রধান বললেন, ‘হাক মাওলা। আমিই তাইনেরে বুদ্ধি দেই, আপনে কিন্তু হাইফাই মহিলাদের সুদে টেকা পয়সা ধার দিয়েন না, ফেরত পাইবেন না। হে হে, হাইফাই মহিলাদের বিষয়ে আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে। বন্দুক চালানের পাশাপাশি ওইডাও চালানো ভালা কইরা রপ্ত করছিলাম। চামড়ার নল...(সেন্সর)। হাক মাওলা।’
চতুর্থ দলের প্রধান, ‘ নাসারাদের কুনু কিছু আমরা বেবহার করি, নেইও না; ধর্মে নিষেধ আছে। কিন্ত আমাগো ম্যাডাম যখন কইছে, তাইলে ঠিকাছে। এইটা আমাগোই কেরতিত্ব। জাযাকুল্লাহ খায়ের!’
এই বিতর্ক তখন শেষ হয়নি।
একদল এখন আর সংসদে যাচ্ছে না। গেলে, কে জানে, আবারও না এই বিতর্কটা শুরু হয়ে যায়...।
*Das ist meine Welt. Wenn es auch Ihnen gehört, habe ich kein Problem mit Ihnen. Es gibt keinen Grund mit Ihnen zu kämpfen. Weil wir sind Freunde, Verwandte. * この地球は私のものです。たまたまこの地球はあなたのものでもあれば、私はあなたと争わない。あなたは私の兄弟、親族ですから。 * This planet belongs to me. By any chance, if you also claim the ownership of this planet, I have no complain, even I should not have any complain about that. Because you are my brother-relative.
Wednesday, July 15, 2009
মুচির জন্য শোক, সুদখোরের জন্য উল্লাস
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment